ওয়ার্নার বীরত্বে বক্সিং ডে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ অজিদের

ছবি:

ঐতিহাসিক অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারের ওয়ানডে মেজাজের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
এদিন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বক্সিং ডে টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে সাথে নিয়ে ১২২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার।
এই জুটি গড়ার পথে রীতিমত ওয়ানডে স্টাইলেই খেলেছেন ওয়ার্নার। মাত্র ১১২ বলে ৯৬ রান তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এরপর বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি ওয়ার্নার-ব্যানক্রফট জুটি। ৩৪.৩ ওভারে এসে ব্যানক্রফটকে ২২ রানে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস।
ব্যানক্রফট আউট হলে ১৩০ বলে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম শতক তুলে নেন হার্ড হিটার ওয়ার্নার। তাঁর এই ইনিংসে ছিলো ১টি ছয় এবং ১৩টি চার। ঝড়ো এই সেঞ্চুরি হাঁকানোর পাশাপাশি ছয় হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন ওয়ার্নার।
এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই অজি ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন ১৪তম অবস্থান তাঁর।

তবে ছয় হাজারি ক্লাবে পা রাখার পর আর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি অজি ওপেনার। দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় স্টুয়ার্ট ব্রডের একটি বলে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দেন ওয়ার্নার ( ১০৩)।
ওয়ার্নি ফিরে গেলে ১৬০ রানের মাথায় ফিরে যান ওসমান খাওয়াজাও। ১৭ রান করে ব্রডের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন তিনি। অবশ্য খাওয়াজা ফিরে গেলেও বিপদে পড়তে হয়নি অজিদের। কেননা এরপরেই দলের ত্রাণকর্তা হিসেবে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
শন মার্শের সাথে ৮৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে শুধু ২০০ এর কোটাই পার করাননি তিনি, পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলকে শক্ত পুঁজির ভিতও গড়ে দিয়েছেন।
দিন শেষে স্মিথ অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে। আর তাঁর সঙ্গী মার্শের সংগ্রহ ৩১ রান। আগামীকাল ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামবেন অজি দলপতি।
ইংলিশদের পক্ষে প্রথম দিন সবচাইতে সফল বোলার ছিলেন পেস তারকা জেমস অ্যান্ডারসন। ২১ ওভার বল করে ৪৩ রানে ১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ১৯ ওভার বোলিং করে ৪১ রানে ১ উইকেট নেন আরেক পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। এছাড়া ক্রিস ওকসও পেয়েছেন ১ টি উইকেট।
উল্লেখ্য পাঁচ ম্যাচ অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে অজিদের কাছে হেরে ইতিমধ্যে সিরিজ খুইয়ে বসেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। ধবল ধোলাইয়ের লজ্জা এড়াতেই এখন লড়ছে তারা।