জিশানের ৫২ বলের সেঞ্চুরির ম্যাচে ঢাকাকে জেতালেন আরিফুল
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
১০০ রানের ইনিংসে জিশানের ব্যাট থেকে এসেছে ১০টি ছক্কার মার, চারের মার এসেছে চার টি। সেঞ্চুরির দেখা পেতে জিসান খেলেন ৫২ বল। এর মধ্যে প্রথম ৩৮ বলে পূরণ করেছিলেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। সেখানেও ছিল জিসানের দাপুটে ছাপ, ছক্কা হাঁকিয়েই পৌঁছান হাফ সেঞ্চুরিতে। ঢাকা বিভাগের পেসার সালাহউদ্দিন শাকিলকে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করা জিশান ব্যাটিং ইনিংসের ১৩ ওভার শেষে অপরাজিত ছিলেন ৪০ বলে ৫২ রান করে।
তবে এর পরের গল্পটা একেবারেই ভিন্ন। পরবর্তী ১২ বলে জিশানের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ রান। ইনিংসের ১৪ তম ওভারে ঢাকার অধিনায়ক সাইফ হাসান বল তুলে দেন স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়রের হাতে। প্রথম বলে জিসান নেন দুই রান।
পরের পাঁচ বল একে একে সবগুলো বল বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন জিশান। সবই ছিল ছক্কার মার। চোখের পলকে এক ওভারের ব্যবধানে জিসানের রান বেড়ে ৫২ থেকে হয়ে যায় ৮৪! ১৬তম ওভারেও নিজের দাপট বজায় রাখেন সিলেটের এই ওপেনার।
ঢাকা বিভাগের পেসার সুমন খানের বলেও আদায় করে নেন দুটি ছক্কা। ১৭তম ওভারে নাজমুল অপুর প্রথম বলেই সিংগেল নিয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নিজের নাম লেখান জিশান আলম।
তবে নিজের অসাধারণ ইনিংস আর বড় করতে পারেননি এই ব্যাটার। নাজমুল অপুর দুর্দান্ত একটা ডেলিভারিতে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। তিনি ছাড়া মাহফুজুর রাব্বির ১৭ বলে ৩০, তৌফিক খান তুষারের ১৭ বলে ২৯ রানের সুবাদে বিশ ওভারে চার উইকেটে ২০৫ রান তোলে সিলেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে শূন্য রানে ফিরে যান সাইফ হাসান। এরপর আরিফুলের তান্ডবে ১৩ ওভারের আগেই ১৪০ রান তোলে ঢাকা। আবু জায়েদ রাহির বলে বিদায় নেয়ার আগে ৪৬ বলে ছয়টি চার ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রান করেন আরিফুল।
এরপর আরাফাত সানির ১৮ বলে ২৭, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ২৩ বলে অপরাজিত ৩০ এবং শুভাগত হোমের ১৮ বলে অপরাজিত ৩১ রানের সুবাদে ম্যাচটি জিতে ঢাকা। শেষ বলে পাঁচ রান লাগলে ছক্কা হাঁকিয়ে দল জেতান শুভাগত।