promotional_ad

হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ ইংল্যান্ডের

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


শাই হোপ থেকে শুরু করে শিমরন হেটমায়ার পর্যন্ত, মাঝে এভিন লুইস, নিকোলাস পুরান এবং রস্টন চেজও এলেন আর গেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুর ব্যাটিং ধসের পর খানিকটা হাল ধরলেন রভম্যান পাওয়েল ও রোমারিও শেফার্ড। তাদের দুজনের পাশাপাশি শেষের ঝলকে আলজারি জোসেফের কল্যাণে স্বাগতিকদের রান ১৪৫। এমন রান নিয়েও জয়ের যতটা সুযোগ ছিল তার সবটা হাতছাড়া হলো ক্যাচ মিসের মহড়ায়। স্যাম কারান ও লিয়াম লিভিংস্টোনের ব্যাটে তাই ইংল্যান্ড জয় তুলে নিয়েছে ৪ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে। পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিনটিতেই জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা।


সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে ১৪৬ রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের শুরুটাও হয়েছে অনেকটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতোই। আগের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেয়া ফিল সল্ট, জস বাটলার ও জ্যাকব বেথেল ফিরেছেন দ্রুতই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আউট হয়েছেন সল্ট। আকিল হোসেন মিডল স্টাম্পে পড়া ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৪ রান করা এই ব্যাটার। একটু পর ফিরেছেন তিনে নামা বাটলারও।



promotional_ad

আকিলের লেংথ বলে ব্যাকফুটে গিয়ে সীমানা ছাড়া করার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে রভম্যানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক। আগের ম্যাচে ৮৩ রানের ইনিংস খেলা বাটলার এবার ফিরেছেন মাত্র ৪ রানে। আরেক ব্যাটার বেথেলে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস খেলে ইংলিশদের জয় এনে দিলেও এদিন ৪ রানের বেশি করতে পারেনি। আলজারির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।


৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে সফরকারীদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন উইল জ্যাকস ও কারান। যদিও তাদের দুজনের জুটি ৩৮ রানের বেশি স্থায়ী হতে দেননি গুড়াকেশ মোতি। বাঁহাতি স্পিনারের বলে একটু পিছিয়ে গিয়ে জায়গা বানিয়ে শর্ট মিড অফ দিয়ে খেলার চেষ্টায় রভম্যানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন জ্যাকস। ইংলিশ ওপেরার ফিরেছেন ৩২ রানে। ছয়ে নামা লিভিংস্টোনকে ফেরানোর সুযোগ ছিল দ্রুতই। ব্যক্তিগত ৬ রানে থাকা ডানহাতি ব্যাটারের দেয়া ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা।


৮ রানেও লিভিংস্টোনকে আরও একবার জীবন দিয়েছে স্বাগতিকরা। দুবারই ক্যাচ ছেড়েছেন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া পুরান। ইংলিশ ব্যাটার যখন ২১ রানে ব্যাটিং করছিলেন তখন তার ক্যাচ ছেড়েছেন হেটমায়ার। তিন জীবন পেয়ে ২৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে সফরকারীদের জয়টা সহজ করে দিয়েছেন লিভিংস্টোন। আরেক ব্যাটার কারান করেছেন ২৬ বলে ৪১ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারালেও ৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আকিল।



এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডার ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। লুইস, হোপ, পুরান, চেজ এবং হেটমায়ার তাদের কেউই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। ক্যারিবীয়দের প্রথম পাঁচ ব্যাটার মিলে করেছেন মাত্র ২১ রান। সেখান থেকে স্বাগতিকদের টেনে তুলে ১৪৫ রানের পুঁজি এনে দিয়েছে রভম্যান ও শেফার্ডের ৭৩ রানের জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন রভম্যান। এ ছাড়া শেফার্ড ৩০ ও আলজারি করেছেন ২১ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব মাহমুদ ও জেমি ওভারটন।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball