promotional_ad

চট্টগ্রামে ভালো করবেন মিরাজ-নাঈম, বিশ্বাস তাইজুলের

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


মিরপুরে কাগিসো রাবাদা বল হাতে আলো ছড়ালেও উইকেট পুরোপুরি পেস সহায়ক ছিল এটা হয়ত বলার সুযোগ নেই। প্রথাগতভাবে মিরপুরের উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররা। তবে বোলিংয়ে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তাইজুল ইসলাম ছাড়া বাংলাদেশের কেউই সেভাবে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সে করে দেখাতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান সুবিধা করতে না পারলেও তারা চট্টগ্রামে কামব্যাক করবেন বলে বিশ্বাস তাইজুলের।


প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাউথ আফ্রিকাকে চেপে ধরেছিলেন তাইজুল। ১০৮ রান ৬ উইকেটের পাঁচটিই নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এমন অবস্থা থেকে কাইল ভেরেইনার সেঞ্চুরি ও উইয়ান মুল্ডারের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০৮ রানের পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা। তাইজুল একা ৫ উইকেট নিলেও একাদশের বাকি ‍দুই স্পিনার মিলে নিয়েছেন মাত্র দুই উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১৮ ওভার বোলিং করে উইকেটশূন্য ছিলেন নাঈম।


মিরাজ ২ উইকেট পেয়েছেন ১৫.৪ ওভারে ৬৩ রান খরচায়। দ্বিতীয় ইনিংসে সাউথ আফ্রিকার তিন উইকেটের সবকটি নিয়েছেন তাইজুল। মিরাজ ও নাঈম মিলে চার ওভার বোলিং করলেও কেউই উইকেটের দেখা পাননি। নিজেদের চেনা মাঠে তাদের এমন পারফরম্যান্স পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। তাইজুল যদিও এসব না ভেবে তাদের উপর আস্থা রাখছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ও নাঈমের পূর্বের পারফরম্যান্সের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।



promotional_ad

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরুর আগে তাদের নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘না, এখানে উঠে আসার বিষয়টা না। আপনি নাঈমের রেকর্ড দেখলে বুঝবেন, তার রেকর্ডও কিন্তু খারাপ না। যথেষ্ট ভালো রেকর্ডই। এক ম্যাচে উইকেট পায় নাই এজন্য সে পারবে না সামনে, এরকম না। আমার কাছে মনে হয় এক ম্যাচ হতে পারে এমন।’


‘সামনে যে ম্যাচ আছে, তারা কামব্যাক করবে, ভালো কিছু করবে। পূর্ববর্তী রেকর্ড যদি দেখেন, মিরাজ বলেন, গত সিরিজেও ভারতে-পাকিস্তানে যথেষ্ট ভালো বল করেছে। এবং দলকে জেতাতে সাহায্য করছে। নাঈমও পূর্ববর্তী ম্যাচ যেগুলো খেলেছে চট্টগ্রাম, মিরপুরে; ভালো করেছে।’


মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে সাউথ আফ্রিকার দুই পেসারের সঙ্গে কেশভ মহারাজের বোলিংয়ে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ‍দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি একাদশের সাতজন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য মিরাজ ৯৭ ও জাকের আলী অনিক ৫৮ রান করেছিলেন।


বাকিদের মাঝে বিশ পেরোনো ইনিংস খেলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল জয়। ব্যক্তিগতভাবে একেকজন ভালো করলেও চট্টগ্রামে তাইজুলের চাওয়া দু-একজনের হাফ সেঞ্চুরি কিংবা সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটারদের আরও একটা সুযোগ দেখছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তাইজুল বলেন, ‘না, আপনি প্রত্যেকটা ম্যাচ আসা মানেই একটা সুযোগ। সেদিক থেকে আমার মনে হয় যে আবার আরেকটা সুযোগ ব্যাটারদের কাছে আছে।’



‘সত্যি কথা বলতে কী আমাদের দল হিসেবে যে পারফরম্যান্সটা হওয়ার কথা, সেটা হচ্ছে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে একেকজন একেক ম্যাচে ভালো খেলছে। দল হিসেবে আমরা যদি দুই-তিনটা জুটি গড়তে পারি, দুয়েকজন যদি হাফ সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি করতে পারি; তাহলে হয়তো আমাদের লক্ষ্যটা বড় হবে। সবাই হার্ড ওয়ার্ক করছে, মন থেকেও চাচ্ছে। কিন্তু হচ্ছে না। হয়তো এই ম্যাচে আমরা ভালো কিছু করবো।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball