|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমের সূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৮ দলের এই প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে ১৯ অক্টোবর থেকে। এবারের টুর্নামেন্টেও আগের মতোই অংশ নিতে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, ঢাকা মেট্রো, রংপুর, রাজশাহী ও বরিশাল। টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে।

গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হবে ৩ ডিসেম্বর। এবারের জাতীয় লিগের ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে খুলনার শেখ আবু নাসের ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেটের দুটি মাঠ, কক্সবাজারের দুটি মাঠ, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামকে।

এ ছাড়াও খেলা হবে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। প্রতি রাউন্ডের মাঝে ৩ দিন করে ভ্রমণ বিরতি রাখা হয়েছে। এই সময় দলগুলো অনুশীলনও চালিয়ে যাবে। এরই মধ্যে প্রতিটি দলের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে।

টুর্নামেন্টের প্রথম দিনই মাঠে নামছে ৮ দল। এর মধ্যে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে লড়বে সিলেট বিভাগ। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে ঢাকা মেট্রোর প্রতিপক্ষ বরিশাল। আর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মূল মাঠে খুলনার মুখোমুখি হবে রাজশাহী।

শুক্রবার জাতীয় লিগের প্রধান স্পন্সর হিসেবে মধুমতি ব্যাংকের নাম ঘোষণা করেছে বিসিবি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জাতীয় লিগে খেলার ওপর জোর দিয়েছেন। সিরিজ না থাকলে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় বিসিবিও।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এই সংস্কৃতিটা তৈরি করা দরকার, না এখানে খেলতেই হবে। আমরা যদি ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে থাকি তাহলে এটা হবে না। এটা এমন না যে সবাইকে খুশি করার বিষয়। কেউ কেউ অখুশি হতে পারে। কিন্তু একটা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা দরকার। যেটা সবাই মানতে বাধ্য হবে।’

অনেকেই বলে থাকেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো মান নেই। এবার সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় বিসিবি। ক্রিকেটাররা যেন এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন সেই ব্যবস্থা করতে চায় বিসিবি। এবারের জাতীয় লিগে কোচ ও ক্রিকেটারদের জন্য মনোবিদেরও ব্যবস্থা রাখছে বিসিবি।

এ প্রসঙ্গে ফাহিম বলেছেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের একজন মনোবিদ আছে। যিনি প্রয়োজনে আসেন, এইচপিতে কাজ করেন। তার সঙ্গে নিয়মিত জাতীয় লিগের কোচ-অধিনায়করা বেশ অনেকগুলো সেশন করবে অনলাইনে। ধারণাটা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট কীভাবে খেলানো যায়, ওই সংস্কৃতিটা কীভাবে আমরা এখানে ঢোকাতে পারি।’