আন্দোলনে নিহত রিকশাচালককে সিরিজসেরার পুরস্কার উৎসর্গ মিরাজের

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে প্রথম টেস্টে হারানোর পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতের উদ্দেশ্যে জয় উৎসর্গ করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার সিরিজসেরার পুরস্কার আন্দোলনে নিহত এক রিকশাচালকের পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেই সঙ্গে পুরো অর্থও তাদের পরিবারকে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে অবনতি হয়েছিল। এমন অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়ে মারা গেছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন না পেশার মানুষ। সরকারি প্রতিবেদন হিসেবে একজন রিকশাচালকও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন।

এমন অবস্থায় সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন মিরাজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৫৫ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে ১০ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। যেখানে স্মারক ট্রফির সঙ্গে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার পেয়েছেন ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৪ টাকার সমান। সেই সঙ্গে দেশের বাইরে সিরিজসেরা হতে পেরে ভালো লাগছে তার।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষ দিকে বাংলায় কথা বলার অনুমতি নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘দেশের বাইরে প্রথমবার সিরিজসেরা হয়ে ভালো লাগছে। আমাদের দেশে গত কিছু দিন ধরে সমস্যা ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়েছে। সেখানে একজন রিকশাচালক মারা গেছেন। আমি তার পরিবারকে আমার এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি।’
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৯৬ রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি মিরাজ নিজে খেলেছিলেন ৭৮ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর লিটন দাসের সঙ্গে ১৬৫ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছেন। যেখানে নিজে খেলেছেন ৭৭ রানের ইনিংস। এ ছাড়া প্রথম ইনিংসে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘অলরাউন্ডার হিসেবে খেলা সবসময়ই কঠিন কাজ। আমি মুশফিক ভাই ও লিটন ভাইয়ের সঙ্গে স্ট্রাইক রোটেট করে নিজের ব্যাটিং উপভোগ করতে চেয়েছি। ৫ উইকেট পাওয়ায় সত্যিই খুশি। সামনে আরও ভালো বোলিং করার চেষ্টা করব।’