সিরিজ শেষে হাথুরুসিংহকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সরিয়ে দেয়ার গুঞ্জন উঠেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটে। তবে সবকিছু সামলে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি থাকা লঙ্কান কোচকে রেখে দেয়া বিসিবি। নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করার পর আবারও হাথুরুসিংহকে সরিয়ে দেয়ার কথা উঠে এসেছে। বেশিরভাগ মানুষ হাথুরুসিংহকে সরানোর আহ্বান জানালেও বিসিবি সিদ্ধান্ত নিতে চায় পাকিস্তান সফর শেষে।
২০১৬ সালে ফারুক আহমেদ প্রধান নির্বাচক থাকাকালীন দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপের সুযোগ ছিল হাথুরুসিংহের। দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলে সেই সময় পদত্যাগ করেছিলেন ফারুক। বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায়শই লঙ্কান কোচের সমালোচনা করেছেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে হাথুরুসিংহকে সরিয়ে দেয়ার পক্ষেও কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।

সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পরও নিজের অবস্থানে অটল আছেন বলে জানিয়েছিলেন ফারুক। যদিও বাংলাদেশের প্রধান কোচকে সরানোর আগে চুক্তির বিষয়গুলো দেখে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। গুঞ্জন আছে পাকিস্তান সফর দিয়েই শেষ হতে পারে হাথুরুসিংহের বাংলাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়। ভারত সফর থেকে দেশি কোচের অধীনে খেলবে বাংলাদেশ, এমন আলোচনা থাকলেও ফারুক জানিয়েছেন, লঙ্কান কোচকে সিদ্ধান্ত নেবেন সিরিজ শেষে।
বোর্ড সভা শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, ‘হাথুরুসিংহের ব্যাপারে আলাপ হয়েছে আমাদের। সবশেষ সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে বলেছিলাম টেস্ট ম্যাচের মাঝে কিছু করতে চাই না, এখন সফরের মাঝখানে। বোর্ড প্রধান হয়ে আপনি যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিন্তু এটাও ভাবতে হবে অন্য কোনো জায়গায় যেন সমস্যা না হয়। তারমানে এই না কোন সময় সমস্যা করতে পারব না।’
‘আমাদের জন্য যেটা ভালো হবে... এই টেস্ট সিরিজটা যাক। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করছি, সবার মতামত নিচ্ছি চেষ্টা করব। এটা তদন্তের মতোই কতটা ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওইটা আমরা ভালো করে দেখে একটা সিদ্ধান্ত নেব। অদূর ভবিষ্যতে কিছু একটা দেখতে পারবেন।’
এদিকে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছেন হাথুুরুসিংহ নিজেও। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে জানিয়েছিলেন, বিসিবি চাইলে তিনি চাকরি ছাড়তে রাজি। প্রথম টেস্ট জয়ের পর অবশ্য কথার সুর খানিকটা পাল্টেছেন তিনি। ২৯ আগষ্ট পাকিস্তানে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, নতুন নেতৃত্বাধীন বিসিবির সাথে বসে নিজের ভবিষ্যত ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে চান।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, নেতৃত্বে নতুন কিছু মানুষ এসেছে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। প্রথম কথা হচ্ছে আমার দলটিকে তৈরি করতে হবে। শেষ কয়েকমাস ধরে আমরা অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হবে না দ্বিতীয় ম্যাচে এটাই লক্ষ্য।’