বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জয় উৎসর্গ করলেন শান্ত

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে জুলাইয়ের শুরুতে বাংলাদেশে শুরু হয় ছাত্রদের আন্দোলন। পরবর্তীতে যা বৈষম্যবিরোধী ও সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দেয়। যার ফলে ছাত্রদের সঙ্গে সেই সময় আন্দোলনে যোগ দেন বাংলাদেশের সাধারণ জনতাও। তাদের তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে ছাড়ার আগে অবশ্য নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ছাত্র-জনতার বিপক্ষে প্রশাসন ব্যবহার করে ছররা ও প্রাণঘাতী গুলি ছুঁড়েন। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সময়ে মোট ৭৫৮ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে বাংলাদেশে আন্দোলন শেষ হওয়ার পরই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যায় বাংলাদেশ।

রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া সেই টেস্টে ইতিহাস গড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে সাদমান ইসলামের ৯৩, মুমিনুল হকের ৫০, মুশফিকের ১৯১, লিটন দাসের ৫৬ এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৭ রানের কল্যাণে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ।
সফরকারীদের চেয়ে ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং নেমে সাকিব আল হাসান, মিরাজদের স্পিনের তোপে পড়ে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যান শান মাসুদরা। মাত্র ৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উইকেট হারাতে দেননি জাকির হাসান ও সাদমান। তাদের দুজনের ব্যাটে ১০ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। যা পাকিস্তানের মাটিতে এবং বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম টেস্ট জয়।
এমন ঐতিহাসিক টেস্ট জয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জয় উৎসর্গ করেছেন শান্ত। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে শুরুতে উপস্থাপকের কাছে বাংলায় বলার অনুমতি চেয়ে শান্ত বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন এই জয়টা আমরা তাদের উদ্দেশ্য উৎসর্গ করছি। এবং তাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া।’
নিজের জন্মদিনে জয় পাওয়ায় বেশ আনন্দিত শান্ত। তিনি বলেন, ‘জয়টা আমাদের জন্য বিশেষ। গতকাল রাতে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে আমাকে বলেছিল, ‘কাল যদি তোমরা জিততে পারো, দারুণ ব্যাপার হবে তোমার জন্য।’ আলহামদুলিল্লাহ, এই জয়টা বিশাল আমাদের জন্য।’