প্রাইজমানির টাকা বন্যার্তদের দিয়ে পাশে দাঁড়ালেন মুশফিক-লিটন

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অতিবৃষ্টির সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের মতো বেশ কয়েকটি জেলায় আচমকা সৃষ্টি হয়েছে বন্যা। যার ফলে পানিবন্দী হয়ে আছেন দেশের লাখ লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সহায়তায় এগিয়ে আসছেন। এবার বন্যার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ সাকিলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাব দিতে বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিক, লিটন ও মেহেদী হাসান মিরাজরা। তাদের কল্যাণে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা।

যেখানে একাই ১৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। এমন ইনিংস খেলার পর ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কার হিসেবে একটি ট্রফি ও ৩ লাখ পাকিস্তানি রুপি পেয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ লাখ ২৮ হাজার ৭১৫ টাকা। দেশের বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় পুরো টাকাই দিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুশফিক বলেন, ‘বাজিদ ভাই, আমার দলের অনুরোধে এই প্রাইজমানি বন্যার্তদের দান করতে চাই। আমি দেশের সবাইকে অনুরোধ করব, যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যাতে এগিয়ে আসে।’
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে উইকেটের পেছনে দারুণভাবে অবদান রেখেছেন লিটন। কিপিংয়ের পাশাপাশি কাউন্টার অ্যাটাকে পাকিস্তানকে ভড়কে দিয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে করেছেন ৭৮ বলে ৫৬ রান। এমন ইনিংস খেলে রাওয়াপিন্ডি টেস্টের এনার্জেটিক প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। ১ লাখ পাকিস্তানি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ হাজার ৯০৫ টাকা) পুরোটা বন্যার্ত সহায়তায় দান করে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচশেষে ফেসবুক পোস্টে লিটন লিখেন, ‘পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচে হারিয়েছি, সেখানে অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই জয়টাও ঠিকমত উপভোগ করতে পারছি না, মনটা পড়ে আছে দেশে। আমি এই ম্যাচে এনার্জেটিক প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ বন্যার্তদের জন্য দেবার ঘোষণা দিচ্ছি। যারা দেশে আছেন, তাঁরা সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুন। যত বিপদ, তত ঐক্য। বাংলাদেশ হারবে না।’