|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টেস্ট ক্রিকেটে স্টিভ স্মিথের 'ওপেনার' বনে যাওয়াটা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ম্যাথু হেইডেন। চার নম্বরে দারুণ সফল হওয়া স্মিথের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করাটা ছিল স্রেফ পাগলামিই মনে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি ওপেনারের কাছে।

গত বছরের শেষ দিকে ডেভিড ওয়ার্নার টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয় নতুন ওপেনার নিয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করা তিন ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফট, মার্কাস হ্যারিস এবং ম্যাট রেনশকে ঘিরে ছিল মূল আলোচনা।

কিন্তু এতো ওপেনার থাকার পরও চার নম্বরে ব্যাটিং করে সফলতা পাওয়া স্মিথ নতুন করে ওপেনিং করতে চান। এরপর থেকে এই পজিশনে আট ইনিংস ব্যাটিংও করেছেন তিনি। ৮টি ইনিংসে ব্যাটিং গড় মাত্র ২৮.৫০।

যেখানে চার নম্বরে ৬৭ ইনিংসে স্মিথের গড় ৬১.৫০। আর তিন নম্বরে ১৭ ইনিংসে গড় ৬৭.০৭।
যে পজিশনে স্মিথ ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ রান করেছেন, ক্যারিয়ারের শেষদিকে তাকে সেখানেই ব্যাটিং করানো উচিত বলে মনে করেন হেইডেন।

তিনি বলেন, 'জর্জ বেইলি (প্রধান নির্বাচক) যে যুক্তি দিয়েছিলেন, তা ওই পর্যন্ত সঠিক ছিল যে তিনি তার সেরা ছয় ব্যাটসম্যানকে বেছে নিয়েছিলেন। এখন, স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে তো তর্ক করা যাবে না। টেস্ট ক্রিকেটে তার গড় ৬৫ (৫৬.৯৭), সেঞ্চুরি ৩২টি। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের তুলনায় একজন ওপেনারের ভূমিকা আলাদা। আর চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে পড়লে, যেমন অস্ট্রেলিয়ার বাইরে প্রথম সিরিজে তারা যখন নিউ জিল্যান্ডে খেলল, সেখানেই তাদের সেটা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি। নিউজিল্যান্ডে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করা খুবই কঠিন।'

'ব্যক্তিগতভাবে আমি, যেমনটা বলেছিলাম, (ব্যাটিং পজিশন) পরিবর্তন করাটা পছন্দ করি না। আমি মনে করি এটা চিন্তা করাটাই পাগলামি যে আপনার দলে একটি নির্দিষ্ট পজিশনে ফর্মে থাকা বিশ্বের সেরা ব্যাটার আছে এবং এরপর আপনি তাকে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পজিশনে খেলাচ্ছেন। আমি মনে করি এটা শুধুই পাগলামি।'

এই বছরের শুরুতে প্রথমবারের মতো ওপেনার হিসেবে মাঠে নামেন স্মিথ। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলেন তিনি। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে খেলেন আরও দুটি টেস্ট। এই ৪ টেস্টের ৮ ইনিংসে তিনি পাঁচবার ১২ বা এর কম রানে আউট হন। হাফ সেঞ্চুরি করেন একটি।