শরিফুল-হাসানের তোপের পর পাকিস্তানের লড়াই

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
উইকেটে বাড়তি সুবিধা পেয়ে নতুন বলে পাকিস্তানের ব্যাটারদের চেপে ধরেন হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামরা। ইনিংসের শুরুতেই সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক, শান মাসুদ এবং বাবর আজমকে। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান যখন বিপর্যয়ে তখন স্বাগতিকদের হাল ধরেন সাইম আইয়ুব এবং সৌদ সাকিল। তাদের দুজনের ৯৮ রানের জুটি ভেঙেছেন হাসান। হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাইম ফেরার পর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন সাকিল। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৪ উইকেট এবং পাকিস্তান তুলেছে ১৫৮ রান।
রাওয়ালপিন্ডিতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর আস্থার প্রতিফলন ঘটিয়ে নতুন বলে উইকেটে এনে দিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করেছিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল স্লিপে যেতেই ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন জাকির হাসান। তিনে নামা শান মাসুদকে ফেরাতে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই অফ স্টাম্পে ফেলে বল ভেতরে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন হাসান ও শরিফুল ইসলাম।
অবশেষে তাদের দুজনের একটা লাইন ধরে বোলিং করার পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে। শরিফুলের ভেতরে ঢোকা লেংথ ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দেয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় লিটনের গ্লাভসে যাওয়ার আগে বল শান মাসুদের ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। পাকিস্তানের অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৬ রান।

নিজের পরের ওভারে বাবর আজমকেও ফিরিয়েছেন শরিফুল। বাঁহাতি পেসারের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে গ্ল্যান্স করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। লিটন বাঁ’দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নিলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় বাবরকে। তাতে স্বপ্নও পূরণ হয়েছে শরিফুলের। টেস্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে ‘স্বপ্নের’ উইকেট হিসেবে বাবরকে ফেরাতে চেয়েছিলেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে বাঁহাতি পেসারের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে প্রথম ইনিংসেই।
১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। সেখান থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সৌদ সাকিল এবং সাইম আইয়ুব। তারা দুজনে মিলে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন। বিশেষ করে নাহিদ রানা এবং মেহেদী হাসান মিরাজের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ার দ্বিতীয় টেস্টেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাইম। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৭৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি।
যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে থাকা মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৫৬ রানের ইনিংস খেলা সাইম। তাতে ভাঙে সাকিলের সঙ্গে সাইমের ৯৮ রানের জুটি। তরুণ এই ওপেনার ফেরার পর ৮২ বলে পঞ্চাশ করেছেন সাকিল। টেস্টে এটি তার নবম হাফ সেঞ্চুরি। শেষ বিকেলে ২৪ রান করা রিজওয়ানকে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন ৫৭ রানে অপরাজিত সাকিল। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ও হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান- ১৫৮/৪ (৪১ ওভার) (শান মাসুদ ৬, আব্দুল্লাহ শফিক ২, সাইম আইয়ুব ৫৬, সাকিল ৫৭*, রিজওয়ান ২৪*; শরিফুল ২/৩০, হাসান ২/৩৩)