এশিয়া কাপ • দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম

Asia Cup 2025
IND
168/6 (20 ov)
BAN
127/10 (19.3 ov)
Bangladesh won the toss and opted to bowl

বাংলাদেশ-ভারত লড়াই

সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেট হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ। ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ টায় লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমদের প্রতিপক্ষ ভারত। বাংলাদেশের সমান এক জয় আছে তাদেরও। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে দুই দলের জন্যই ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে হারাতে পারলে সবার আগে ফাইনালে উঠবেন সূর্যকুমার যাদবরা। বাংলাদেশ জিতলে ফাইনালের পথটা সুগম হবে তাদেরও। 


এমন ম্যাচে পরিস্কারভাবেই ফেভারিট ভারত। টি-টোয়েন্টি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, পাশাপাশি টি-টোয়েন্টির এক নম্বর দলও তারা। অতীত রেকর্ড, শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে ভারত। ১৭ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। এসব পরিসংখ্যানের পরও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ পেয়েছে নতুন মাত্রা। সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচেও স্বাভাবিকভাবে সেটার রেশ থাকবে।

মাঠে ঢুকলেন লিটন, একাদশে থাকবেন তো

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অধিনায়ক লিটন দাসকে নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বশেষ অনুশীলনে সাইডস্ট্রেইনের চোটে পড়েন তিনি। এরপর টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় লিটনের জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। বিকল্প অধিনায়কও ভেবে রাখা হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। ভাবনায় আছেন জাকের আলী অনিক ও নুরুল হাসান সোহান। লিটন এরই মধ্যে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢুকেছেন। ফলে তার খেলা না খেলার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে টস পর্যন্ত।

ভারত ম্যাচের আগে কিপিং অনুশীলনে জাকের

ভারতের বিপক্ষে কিপিং নাও করতে পারেন লিটন দাস। খেলবেন শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলবেন। ম্যাচের আগে জাকের আলী অনিককে কিপিং অনুশীলন করতে দেখা গেছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে।

ভারতের বিপক্ষে নেই লিটন, অধিনায়ক জাকের

ভারতের বিপক্ষে একাদশে নেই লিটন দাস। বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাকের আলী অনিক।

বাংলাদেশের একাদশে ৪ পরিবর্তন

এরই মধ্যে টস অনুষ্ঠিত হয়েছে। টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী। বাংলাদেশ এই ম্যাচে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। একাদশে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমন। বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী ও লিটন দাস।


বাংলাদেশের একাদশ— সাইফ হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।


ভারত একাদশ— অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), শিবম দুবে, হার্দিক পাণ্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী।

অভিষেকের ক্যাচ ফেললেন জাকের

প্রথম ওভারে তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে দেন জাকের আলী। প্রথম ওভারে কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি এই পেসার। তিনি খরচ করেন মাত্র ৩ রান। দ্বিতীয় ওভারে নাসুম আহমেদও দারুণ বোলিং করেন। একটি বাউন্ডারি খেলেও তিনি মোটে দেন ৭ রান। তানজিম সাকিবের করা তৃতীয় ওভারের তৃতী বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলেছিলেন অভিষেক শর্মা। ক্যাচ নিতে পারেননি অধিনায়ক জাকের।

অভিষেক-গিলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ ওভারেই ভারতের ৭২

তৃতীয় ওভারে তানজিম খরচ করেন ৭ রান। ৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১৭ রান। নাসুম নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে গিলের তোপের মুখে পড়েন। প্রথম ২ বলেই ১০ রান দেন তিনি। প্রথম বলে মিড অনের ওপর দিয়ে চার মারেন গিল। পরের বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা। শেষ বলে আরেকটি ছক্কা হজম করেন নাসুম। তিনি সেই ওভারে মোট ২১ রান দেন। মুস্তাফিজুর রহমান পঞ্চম ওভারে বল হাতে তুলে নেন। সেই ওভারে ১৭ রান দেন বাঁহাতি এই পেসার। সেই ওভার মুস্তাফিজ দুটি ছক্কা দেন। সাইফউদ্দিনও মার খেয়েছেন এদিন। ১৭ রান দেন ষষ্ঠ ওভারে। ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭২।

প্রথম উইকেটের স্বাদ এনে দিলেন রিশাদ

বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন রিশাদ হোসেন। এই স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৯ বলে ২৯ রান করা গিল। রিশাদের বলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন গিল। তবে ব্যাটে তেমন জোর ছিল না। সীমানায় দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন তানজিম। ফলে দলীয় ৭৭ রানে প্রথম উইকেটের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

রিশাদের ২ ওভারে ২ উইকেট

২৫ বলে এদিন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অভিষেক। সাইফ হাসানের বল মিড উইকেটে ঠেলে এক রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ভারতের ওপেনার। শিভম দুবেকে আউট করেছেন রিশাদ হোসেন। ক্যাচ নিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়।

অভিষেকের ঝড় থামল রান আউটে

রান আউট হয়ে কাঁটা পড়েছেন অভিষেক শর্মা। মুস্তাফিজের ব্যাক অব দ্য লেন্থ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে উড়িয়ে মেরেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তবে সেখান থেকে থ্রু করে বল মুস্তাফিজের হাতে পাঠিয়ে দেন রিশাদ। এরপর বল হাতে নিয়েই উইকেট ভেঙে দেন মুস্তাফিজ। এরপর থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ৩৭ বলে ৭৫ রান করে ফিরে যান অভিষেক। নিশ্চিতভাবেই তিনি সেঞ্চুরির সুযোগ হারিয়েছেন।

সাকিবকে ছাড়িয়ে মুস্তাফিজের দেড়শ

পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান আউট করেছেন সূর্যকুমার যাদবকে। মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে জাকেরকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৫ বলে ১১ রান করে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। আর এর মধ্যে দিয়ে সাকিবের ১৪৯ উইকেট ছাড়িয়ে দেড়শ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে যান মুস্তাফিজ। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে চতুর্থ বোলার হিসেবে দেড়শ বা ততোধিক উইকেট পেয়েছেন তিনি।

তিলককে ফেরালেন তানজিম

১৩তম ওভারে আবার বল করতে এসেছিলেন রিশাদ। সেই ওভারে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। এই লেগ স্পিনারের শেষ বলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মারেন হার্দিক পান্ডিয়া। তানজিম সাকিব আউট করেছেন তিলক ভার্মাকে। মাত্র ৭ বলে ৫ রান করে আউট হয়েছেন এই ব্যাটার। ফলে ১২৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। ফলে ৫২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিপদে পড়ে যায় ভারত।

ভারতকে ১৬৮ রানে আটকে দিল বাংলাদেশ

এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের। ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। অভিষেক শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের ইনিংস থামে ১৬৮ রানে।


অভিষেক মাত্র ৩৭ বলেই তিনি খেলেন ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস,তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছক্কার মার। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন শুভমান গিল। তিনি ১৯ বলে করেন ২৯ রান। তবে এ দুজনের বিদায়ের পর আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।


মাঝে হার্দিক পান্ডিয়া কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও (২৯ বলে ৩৮ রান), শেষদিকে চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয় ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। সূর্যকুমার যাদব (৫), তিলক ভার্মা (৫) ও শিবম দুবে (২) বড় ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত অক্ষর প্যাটেলের অপরাজিত ১০ রানে ভর করে ইনিংসে ভারত থামে ১৬৮ রানে।


বাংলাদেশের বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন শেষদিকে। রিশাদ হোসেন ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় শিকার করেন একটি। এ ছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ও সাইফউদ্দিনও একটি করে উইকেট নেন।

ভারতের বিপক্ষে ব্যর্থ তানজিদ

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারাল টাইগাররা। জসপ্রিত বুমরাহর লেংথ ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে লিডিং এজ হয়ে মিড অনে শিভাম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের ওপেনার ফিরেছেন ৩ বলে ১ রান করে।

ধাক্কা সামাল দিচ্ছেন সাইফ-ইমন

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার দায়িত্ব ছিল পারভেজ হোসেন ইমন ও সাইফ হাসানের উপর। যদিও শুরুতে প্রত্যাশিতভাবে ব্যাটিং করতে পারছিলেন না তারা। বিশেষ করে জসপ্রিত বুমরাহর বলে খেলতেই পারছিলেন না ইমন। যদিও বরুণ চক্রবর্তীর ওভারে ১৩ রান এনে কাভার আপ করার চেষ্টা করেছেন তারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বুমরাহকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন ইমন। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তোলে বাংলাদেশ।

ছক্কা মারতে গিয়ে ফিরলেন ইমন

জসপ্রিত বুমরাহকে খেলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। যদিও ডানহাতি পেসারের তৃতীয় ওভারে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন তিনি। যখন একটু ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন তখনই ফিরতে হয়েছে তাকে। কুলদীপ যাদবের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ইমন। বাঁহাতি ব্যাটার ফিরেছেন ১৯ বলে ২১ রান করে।

ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হৃদয়

লম্বা সময় ধরে ব্যাট হাতে ধুঁকছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তবে আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করে ছন্দে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি তিনি। অক্ষর প্যাটেলের বলে পুল করে ছক্কা মেরেছিলেন সাইফ। এক বল পর ছক্কার চেষ্টা করেন হৃদয়ও। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় ১০ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।

ডাক মারলেন শামীম

ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারলেন না শামীম হোসেন পাটোয়ারি। রহস্যময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ৩ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার।

একশর আগেই ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের

বরুণ চক্রবর্তীর বলে কভারে ঠেলে দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে এক রান নিতে চেয়েছিলেন সাইফ হাসান। ডানহাতি ওপেনারের ডাকে সাড়া দিয়ে দৌড়ও দিয়েছিলেন জাকের আলী। তবে তিনি পৌঁছানোর আগেই সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন সূর্যকুমার যাদব। তাতে রান আউট হয়ে ফিরতে জাকেরকে। ৫ বলে ৪ রান করেছেন তিনি।

৪ ছক্কায় সাইফের হাফ সেঞ্চুরি

ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন সাইফ হাসান। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষেও রান পেয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন সাইফ। টানা দুই ম্যাচেই পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করতে তিনটি করে চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন সাইফ।

৫ ওভারে ৬১ রান করতে হবে বাংলাদেশকে

ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে শেষ ৫ ওভারে ৬১ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। উইকেটে আছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সাইফ হাসান।

বাংলাদেশের হয়ে একাই লড়লেন সাইফ

বুমরাহকে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট সাইফ। ৬৯ রান করেছেন তিনি।

ভারতের কাছে ৪১ রানে হারল বাংলাদেশ

অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাটে বাংলাদেশের উপর তাণ্ডব চালায় ভারত। গিল ফিরলেও অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলেন অভিষেক। ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৩৭ বলে খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। বাঁহাতি ওপেনারের ওমন ব্যাটিংয়ে দুইশ ছাড়িয়ে যাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে আটকে দেন ১৬৮ রানে। যদিও সেই রান তাড়ায় যাচ্ছে তাই ব্যাটিং করেছেন তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমনরা।


বেশ কয়েকবার জীবন পেয়ে সেটা কাজেও লাগিয়েছেন সাইফ হাসান। একের পর এক ছক্কা চারে ৩৬ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। ডানহাতি ওপেনারের একার লড়াই থামে ৫০ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে। বাকিদের ব্যর্থতায় ১২৭ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ৪১ রানে হারিয়ে সবার আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারত। এখনো ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশ। ২৫ সেপ্টেম্বর নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে হবে লিটন দাস-মুস্তাফিজুর রহমানদের।