গোলাপি পোশাকে অপ্রতিরোধ্য দক্ষিণ আফ্রিকা

ছবি:

ভারতের বিপক্ষে ৬ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশেষে চতুর্থ ওয়ানডেতে এসে ভাগ্য সহায় হলো তাদের। বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৫ উইকেটের দারুণ একটি জয় পেয়েছে এইডেন মার্করামের দল।
গোলাপি পোশাক যেন সর্বদাই শুভ বার্তা নিয়ে আসে প্রোটিয়াদের জন্য। এর প্রমাণ আরো একবার দেখালো আফ্রিকা।
২০১১ সাল থেকে ব্রেস্ট ক্যানসারের সতর্কতা অবলম্বনে এই জার্সিতে খেলে আসছে প্রোটিয়ারা। সব থেকে অবাক করা বিষয় হলো এই পোশাকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা তার প্রতিটিই জয় পেতে সক্ষম হয়েছে তারা।
কোহলিদের গত ম্যাচে হারিয়ে সেই ধারা যথারীতি অব্যাহত রেখেছে স্বাগতিকরা। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ২৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ দশমিক ৩ ওভারে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৩ রান ঠিক তখনই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
পরবর্তীতে বৃষ্টি আইনে স্বাগতিকদের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ২৮ ওভারে ২০২ রান।

তবে বৃষ্টির পর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। ইনজুরি থেকে ফেরা এবি ডি ভিলিয়ার্সও বড় ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে ১০২ রানে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলো স্বাগতিকরা।
তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ৭২ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে প্রোটিয়ারা।
ব্যক্তিগত ৩৯ রান করে মিলার ফিরে গেলেও ক্লাসেনের অপরাজিত ২৭ বলে ৪৩ এবং আন্দাইল ফেহলুকায়োর ৫ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসই ১৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় স্বাগতিকদের। আর এই জয়ে সিরিজে এখনও টিকে থাকলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা শুভ সূচনা হয়নি ভারতের। দলীয় ২০ রানের মাথায় ফর্মে থাকা রোহিত শর্মা সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক বিরাট কোহলির সাথে ১৫৮ রানের বড় জুটি গড়েন আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
দলীয় ১৭৮ রানে ব্যক্তিগত ৭৫ রান করে কোহলি আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরি করেই মাঠ ছাড়েন ধাওয়ান। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ বলে ১০৯ রানের অসাধারন ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এছাড়াও ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৯ রান করতে সক্ষম হয় বিরাট কোহলির দল।
দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে লুঙ্গি এনগিদি এবং কাগিসো রাবাদা দুইটি করে উইকেট শিকার করেন।
ম্যাচ সেরা- হেনরিক ক্লাসেন।
সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ- ১৩ই ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)