টেইল এন্ডারদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় সাকিব

ছবি:

টেইল এন্ডারদের ব্যাটিংয়ে আরও বেশী পারদর্শী করে তুলতে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগেই তাদের বিশেষ কোচিং করিয়েছে টাইগার টিম ম্যানেজম্যান্ট। শেষের দিকে বোলাররা যেন স্কোরবোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করতে পারেন এটাই ছিল ট্রেনিংয়ের মূল লক্ষ্য।
আর বোলারদের ব্যাটিং শিক্ষা দেয়ার এই প্রক্রিয়া আসলেই কাজে এসেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগাররা যখন ১৭০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপাকে তখন নিচের দিকে ব্যাট করতে নেমে অভিজ্ঞদের মতো ব্যাট করেছেন সানজামুল-মুস্তাফিজরা।
সানজামুল এবং মুস্তাফিজ মিলে দেখে শুনে খেলে ৩৫ বলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৬ রান। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে মুস্তাফিজের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের স্কোরবোর্ডে আরও ২০ রান যোগ করেন রুবেল।

নিচের ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪৬ রান স্কোরবোর্ডে তোলে বাংলাদেশ। আর ইনিংস শেষে ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে কথা বলার সময় সাকিব জানালেন টেইল এন্ডার ব্যাটসম্যানরা ট্রেনিংয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন বলেই এখানে সফল তারা। তিনি বলেন,
'বোলাররা ব্যাটিং নিয়ে অনেক কষ্ট করেছে। নেটে প্রতিদিন তারা মিনিমাম ৩০ মিনিট ব্যাট করেছে বলেই আজ শেষের দিকে তারা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন।'
ইনিংসের শুরুতে ব্যাট করাটা খুব বেশী সহজ ছিলোনা বলেও জানান সাকিব। তবে উইকেটে থিতু হয়ে থাকলে রান আসবে বলেও জানতেন তিনি। সাকিব বলছিলেন,
'প্রথমদিকে ব্যাট করা এতোটা সহজ ছিলনা। তবে আমরা যানতাম যে উইকেটে থিতু হয়ে খেলতে পারলে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে পারবো। সেটারই চেষ্টা করেছি আমরা। আমি মনে করি এই রানে জয় পাওয়া সম্ভব।'