এই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে শূন্য রানে ফিরে যান পল স্টার্লিং। প্রথম ওভারে নাবিল সামাদের গুড লেংথের ডেলিভারিতে শর্ট এক্সট্রা কাভারে চিপ করতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হয়ে ফিরে গেছেন তিনি। তারপর উইকেটে এসে ১৯ বলে ২৫ রান করে পঞ্চম ওভারে ফিরে যান জাকির হাসান। তাকে ফেরান আলিস আল ইসলাম। তার টার্ন করা বলে সজোরে সামনে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করে লং অনে শরিফুল ইসলামের মুঠোয় ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জাকির।

পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে রনি তালুকদারের উইকেট হারায় সিলেট। ওয়াসিম জুনিয়রের অফস্টাম্পের বাইরে বলে হাঁকাতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাত রান করা রনি। পাওয়ার প্লে'তে তিন উইকেটে ৪৬ রান তোলে সিলেট। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর জর্জ মানজি এবং অ্যারন জোন্স কিছুটা রয়েসয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন। ১০ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন উইকেটে ৬১ রান।

১১তম ওভারে জোন্স ১৮ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান। ওয়াসিম জুনিয়রের লেংথ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তিনি। জোন্সকে হারানোর পর অনেক বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠেন মানজি। ১৩.৩ ওভারে দলীয় শতরানে পৌঁছায় সিলেট। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন স্কটল্যান্ডের এই ব্যাটার। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর ফিরে যান মানজি। খালেদ আহমেদের ফুলার লেংথের ওয়াইড বলে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে শর্ট কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৩৭ বলে ৫২ রান করে ফিরে যান মানজি।

তার বিদায় পর এক ওভার পর আলিস আল ইসলামকে টানা দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকান আরিফুল হক। কিন্তু ৭ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান তিনিও। তারপর আর ম্যাচে বেশীক্ষণ ছিল না সিলেট। তবে একপাশ দিয়ে চার-ছক্কায় দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন জাকের আলী অনিক। ২৩ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৭৩ রান করে থামে সিলেট। 

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ হয়েছে চিটাগাংয়ের। শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন উসমান। তবে চতুর্থ ওভারে ফিরে যান পারভেজ হোসেন ইমন। তানজিমের করা শর্ট ডেলিভারিতে ডিপে ছক্কা মারতে গিয়ে নিহাদুজ্জামানকে ক্যাচ দিয়ে ৯ বলে সাত রান করে ফিরে যান তরুণ এই ওপেনার। পাওয়ার প্লে' শেষে চিটাগাংয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেটে ৪৬ রান।

এরপর উসমান এবং ক্লার্কের ব্যাটে দ্রুত রান তোলে দলটি। উসমান ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। উসমান আর ক্লার্কের তাণ্ডবে ১০.১ ওভারেই দলীয় শতরানে পৌঁছায় সিলেট। এই দুজনের ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন আরিফুল হক। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে আরিফুলের বলে তানজিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান উসমান। উইকেটে এসে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন মোহাম্মদ  মিঠুনও। অপরদিকে চার-ছক্কার মারে হাফ সেঞ্চুরি পান ক্লার্কও। আরিফুল হকের বলে ডাউন দ্যা গ্রাউন্ডে চার মেরে ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।

হাফ সেঞ্চুরির পর ১৬তম ওভারে ফিরে যান ক্লার্ক। নাহিদুল ইসলামকে সামনে একে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে আরিফুলের দারুণ ক্যাচে ফিরে যান ক্লার্ক। ৩৩ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬০ রান আসে তার ব্যাটে। ক্লার্ক ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমে যায়। ১৮তম ওভারে ফিরে যান অধিনায়ক মিঠুনও। ১৯ বলে ২৮ রান করে রুয়েল মিয়ার ওয়াইড এঙ্গেলের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর শামীম পাটোয়ারি এক রানে ফিরে যান। শেষদিকে ১৭ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ক্যামিও খেলে দলকে দুইশ পার করান হায়দার আলী।