মিডল অর্ডারে উইকেট না পড়লে আমরাই জিততাম: বাবু
ছবি: গণমাধ্যমে কথা বলছেন আলাউদ্দিন বাবু, ক্রিকফ্রেঞ্জি
লক্ষ্য তাড়ায় যেমন শুরু প্রয়োজন পাওয়ার প্লে'তে সেটাই করেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম কয়েক ওভার রয়েসয়ে খেললেও একটু পর দুজনই জড়তা কাটিয়ে বাউন্ডারি বের করেন প্রত্যাশা মিটিয়ে। বিনা উইকেটে ৬৫ রান তোলা ঢাকা ছিল সঠিক পথেই। তবে শেখ মেহেদীর স্পিনে ছন্দপতন হয় দলটির।
২৭ রান খরচায় মেহেদী ফেরান লিটন, তানজিদ, হাবিবুর রহমান সোহান ও ফারমানউল্লাহ শাফিকে। ৬৫ থেকে ৭৫ রানে যেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। সেখান থেকে আর দলকে টেনে তুলতে পারেননি থিসারা পেরেরা, স্টিফেন এস্কিনাজিরা। ভালো শুরুর পরও মাঝের ব্যাটিং ধসে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তোলে ঢাকা।
ম্যাচ শেষে বাবু বলেন, 'উইকেট খুবই ভালো ছিল আসলে। এর আগের ম্যাচেও কিন্তু এই রানটা অতিক্রম হয়েছে। তো উইকেটটা ভালো ছিল অবশ্যই। ব্যাটিংয়ে তানজিদ তামিমের উইকেট পড়ার পর কিন্তু নিয়মিতই আমাদের উইকেট পড়ে। ওই জায়গাটায় আমরা একটু পিছিয়ে গেছি। হয়ত আমাদের উইকেট যদি না পড়ত, তাহলে এই রানটা অতিক্রম করে ফেলতে পারতাম। উইকেট অনেক বেশি ভালো ছিল আজকে।'
ম্যাচে তামিম ২১ বলে ৩০ এবং লিটন ২৭ বলে ৩১ রান করলেও সোহানের ব্যাটে আসে দুই বলে ছয় রান। ২১ বলে ১৭ রান করেন এস্কিনাজি, ফারমানউল্লাহর ব্যাটে আসে এক রান, থিসারা পেরেরা করেন আট বলে ১৭ রান। এই ম্যাচে এমন পারফর্ম করলেও আগামীতে ঘুরে দাঁড়াবেন দলটির ক্রিকেটাররা। এমনটা প্রত্যাশা করছেন বাবু।
তিনি আরও বলেন, 'আজকে আমাদের মিডল অর্ডার ধ্বসে পড়েছে। আসলে মিডল অর্ডারে কেউ রান করেনি বলে মনে হচ্ছে এরকম। যারা আছে তারা আসলে যথেষ্ট সামর্থ্যবান দেখেই এই দলে খেলে। ওখানে সোহান কিন্তু নিজেকে আগে প্রমাণ করেছে। তিন নম্বরে ব্যাটিং করে, শেষ টুর্নামেন্টেও দারুণ করেছে। আমাদের যে বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলে ওরাও কিন্তু দারুণ পারফর্মার। বিপিএলে প্রথম ম্যাচ দেখে হয়ত ক্লিক করতে পারেনি। টু আর্লি টু জাজ, আসলে প্রথম ম্যাচের পরই। এখনও ১১টা ম্যাচ আছে, আমরা আশাবাদী আমরা ঘুরে দাঁড়াব।'
বিপিএলে শুরুতে দল পাননি বাবু। কিছুদিন আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ পারফর্ম করেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। নয় ম্যাচে নেন ১৯ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের কারণে তাকে দলে ভেড়ায় ঢাকা। এনসিএলের ফর্ম বিপিএলেও ধরে রাখতে চান তিনি।
'দেখুন এনসিএল টি-টোয়েন্টি যেটা আমরা খেললাম সিলেটে, সেটাকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হবে। ওখানকার পারফরম্যান্সটা কাউন্ট করে ঢাকা দল আমাকে বিপিএলে সুযোগ করে দেয়। প্রথমে তো আমাকে কেউ নেয়নি। পরবর্তীতে খুব ভালো বোলিং করার পর সুযোগটা মিলে। তাই চেষ্টা করেছিলাম যে ফর্মটা পেয়েছে সেই ফর্ম অনুযায়ী আপ টু দ্যা মার্ক যেন বোলিং করতে পারি। একটা ম্যাচ গেল, আশা করি আগামী ম্যাচগুলো আরও ভালো হবে।'