দুর্দান্ত মুস্তাফিজকে আরো একবার দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব

ছবি:

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম আজ চলমান পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) অষ্টম ম্যাচে করাচি কিংসের মুখোমুখি হয়েছে লাহোর কালান্দার্স।বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায় শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন করাচি কিংসের অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে কিংসরা। এদিন দলীয় ৩৬ রানের মাথাতেই ওপেনার জো ডেনলির উইকেটটি হারিয়ে বিপদে পড়েছিলো করাচি। ২৮ রান করা ডেনলিকে ক্যারিবিয়ান স্পিনার সুনিল নারিনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন ইয়াসির শাহ।
ইয়াসিরের পর করাচি শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই বাবর আজমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন কাটার মাস্টার। শুধু তাই নয়, সেই ওভারটি উইকেট মেইডেন নিয়েও শেষ করেন তিনি।
স্কোরবোর্ডে একটি রানও যোগ করতে না পেরে ফিরে যান আরেক ওপেনার খুররম মনজুরও। সুনিল নারিন বলে উমর আকমলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তবে এরপর কলিন ইনগ্রাম এবং রবি বোপারার ৫০ রানের জুটিতে বিপদ কাটিয়ে উঠতে থাকে করাচি।
কিন্তু নিজের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ইনগ্রামকে ফিরিয়ে দিয়ে এই জুটি ভেঙ্গে দেন ইয়াসির শাহ। ইয়াসিরের করা ১৩ তম ওভারের পঞ্চম বলটি ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতেই চেয়েছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ইনগ্রাম। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি শাহেন শাহ আফ্রিদির কারণে।

বাউন্ডারির একেবারে দ্বারপ্রান্তে ভলিবল খেলোয়াড়দের মতো ঝাঁপ দিয়ে বাইরে চলে যাওয়া বলটিকে মাঠের ভিতরে সরিয়ে দেন তিনি। এরপর বলটি সহজেই লুফে নেন উমর আকমল। আর এরই সাথে শেষ হয় ইনগ্রামের ২৯ বলে ২৮ রানের ইনিংসটি।
ইনগ্রাম ফিরে গেলে নতুন ক্রিজে আসা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানও টিকতে পারেননি বেশীক্ষণ। মাত্র ১ রান করে সুনিল নারিনের দুর্দান্ত একটি ক্যারম বলে ম্যাককালামের হাতে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
রিজওয়ানের পর ১১৭ রানের মাথায় ইমাদ ওয়াসিম এবং শহীদ আফ্রিদির গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট খুইয়ে আবারো বিপদে পড়ে করাচি। তবে উইকেটে তখনো শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন রবি বোপারা। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে মাত্র ৩৪ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিলো ??টি ছয় এবং ২টি চারের মার।
মাত্র ১২ বলে ১ ছয় এবং ১ চারের সাহায্যে অপরাজিত ১৫ রান করে বোপারাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ ইরফান। লাহোর কালান্দার্সের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন স্পিনার সুনিল নারিন। মাত্র ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
অপরদিকে মুস্তাফিজও করেছেন যথেষ্ট মিতব্যয়ী বোলিং। ৪ ওভারে ২২ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার। এছাড়াও ইয়াসির শাহ ও সোহেল খানও নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
করাচি কিংস একাদশ-
জো ডেনলি, খুররম মনজুর, বাবর আজম, কলিন ইনগ্রাম, রবি বোপারা, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শহীদ আফ্রিদি, ইমাদ ওয়াসিম (অধিনায়ক), উসমান সিনওয়ারি, মোহাম্মদ ইরফান, টাইমাল মিলস।
লাহোর কালান্দার্স একাদশ-
ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম (অধিনায়ক), ফখর জামান, দীনেশ রামদিন, উমর আকমল, আঘা সালমান, সুনিল নারিন, সোহেল আখতার, সোহেল খান, ইয়াসির শাহ, শাহেন শাহ আফ্রিদি, মুস্তাফিজুর রহমান।