promotional_ad

বিপিএলে খেলার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি উঠতি 'স্পিডস্টার' হোসেন আলী

promotional_ad

সম্প্রতি শেষ হওয়া বিপিএলে রাজশাহী কিংসের হয়ে গতির ঝড় তুলেছিলেন ১৯ বছর বয়সী তরুণ পেসার হোসেন আলী। যদিও বল হাতে চার ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা মাত্র ৪টি। তবে উইকেট কম পেলেও আগামীতে এই উঠতি গতি তারকা যে বাংলাদেশ দলের পেস ডিপার্টমেন্টকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবেন তা সহজেই অনুমিত বলা যায়।   


বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে না খেলেই বিপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন হোসেন আলী। সুতরাং বিপিএলের মতো প্রতিযোগিতা মূলক টুর্নামেন্টে কিভাবে খেলতে হয় তা জানা ছিলো না তাঁর।


আর তাই সেভাবে পারফর্মেন্সের পারদটি খুব বেশি উঁচুতে নিয়ে জেতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি বাংলা দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হোসেন আলী জানিয়েছেন তাঁর বিপিএলে উঠে আসার গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে না খেলা প্রসঙ্গ নিয়ে হোসেন বলেছেন,  


'আমি এ লেভেলে কিভাবে ক্রিকেট খেলতে হয় সেটাই জানতাম না। কারণ আমার জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে খেলার সুযোগ হয়নি। যখন এনসিএলে খেলি তখন কিছুটা বুঝতে শুরু করি। তখন নান্নু ভাইয়ের বড় ভাই নোবেল ভাই আমাকে অনেক সাহায্য করেন।'


গত বছর গাজী গ্রুপের হয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী তরুণ এই পেসার।  আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচেই ৩৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেন হোসেন আলী।



promotional_ad

যদিও বাকি টুর্নামেন্টে খুব একটা ভালো পারফর্মেন্স করতে পারেননি তিনি। ১০ ম্যাচে তাঁর শিকার ছিলো ১০ টি উইকেট। তবে অনুশীলনের সময় নেটে ঠিকই গতির ঝড় তোলেন তিনি।


আর এই গতি এবং বোলিংয়ে অপার সম্ভাবনার আভাস দেখেই বিপিএলে তাঁকে দলে ভেড়ায় রাজশাহী কিংস। তবে বিপিএলে যে তিনি ডাক পাবেন সেটি নিজেও ঘুণাক্ষরে ভাবতে পারেননি হোসেন আলী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলছিলেন,


'গেল বছর গাজী গ্রুপ থেকে প্রিমিয়ার লীগে ডাক পাই। সেখান থেকেও অনেক কিছু নতুন করে শিখি। এবার বিপিএলে যে আমার নাম থাকবে সেটা তো কল্পনায় ছিল না। তবে নাম ছিলো বলে দল পাবো আশা করিনি। কিভাবে যেন দল পেয়ে গেলাম।'


কিংস দলে মোহাম্মদ সামি, ড্যারেন স্যামি, মমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সাথে খেলেছেন হোসেন আলী। এত বড় বড় নামের পাশে নিজেকে অনেকটাই নাকি বেমানান লাগছিলো এই তরুণ পেসারের। বিশেষ করে শুরুর দিকে বোলিংয়ের সময় ফিল্ডিং সাজাতেও সাহস পাচ্ছিলেন না তিনি। হোসেন বলছিলেন,  


'প্রথম দুটি ম্যাচে আমার বোলিংয়ে ফিল্ডিং সাজাবো তা ফিল্ডারদের বলতেই সাহস পাচ্ছিলাম না। আমার সামনে মোহাম্মদ সামি, মুমিনুল ভাই, মুশফিক ভাই, ড্যারেন স্যামি কাউকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছিলাম না। বিশেষ করে বিদেশিদের তো আরো না।'



তবে পরবর্তীতে টাইগারদের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম সাহস জুগিয়ে গেছেন তরুণ হোসেনকে। আর তাই পরবর্তীতে ভয়টি কেটে গিয়েছিলো জানিয়ে হোসেন আলী বললেন, 'পরে আমাকে মুশফিক ভাই অনেক সাহায্য করেন। আমার কথা এখন আমি শিখছি। একদিন অনেক ভালো করবো এটাই বিশ্বাস।'


ছবি- ফেসবুক 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball