তানজিদ-সাইফ-সৌম্যদের নৈপুণ্যে রূপগঞ্জের তৃতীয় জয়

ঘরোয়া
তানজিদ-সাইফ-সৌম্যদের নৈপুণ্যে রূপগঞ্জের তৃতীয় জয়
হাফ সেঞ্চুরির পথে তানজিদ হাসান তামিম, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৫২ রানে অল আউট করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তারপর তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকারের হাফ সেঞ্চুরিতে আট উইকেটের জয় নিশ্চিত করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আসরে এটি দলটির তৃতীয় জয়।

রূপগঞ্জের হয়ে এ দিন সাইফ হাসান নেন চার উইকেট। তিনটি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। তানজিমের গুড লেংথের ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন সাত রান করা এই ওপেনার। এরপর জাকির হাসানকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।

শরিফুলের অফসাইডের ডেলিভারিতে হাঁকাতে গিয়ে কাউ কর্নারে ধরা পড়েন ৯ রান করা জাকির। এরপর দলের রানের খাতায় ৩৮ রান যোগ করেন শাহাদাত হোসেন দিপু এবং নাইম। ১৮ বলে ২০ রান করা দিপুকে বোল্ড করে ফেরান তানভির। পরের ওভারে চার রান করা ইরফান শুক্কুরকে কট এন্ড বোল্ড করে ফেরান সাইফ।

দলীয় ৮৮ রানে নাহিদুল ইসলামকেও বোল্ড করেন তিনি। নাহিদুলের ব্যাটে এ দিন আসে ছয় রান। প্রাইম ব্যাংকের হতাশা বাড়িয়েছেন ইনফর্ম শামীম পাটোয়ারি। এ দিন ১২ বলে ১১ রান করে শেখ মেহেদীর বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তিনি। দলের রান তখন ১০১। এরপর ৪৩ রানের জুটি গড়েন নাইম এবং রিশাদ হোসেন।

এই জুটি ভাঙেন সাইফ। তার লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আট রান করা রিশাদ। ১৪৪ রানে সাত উইকেট হারানো দলটি ২৯.৫ ওভারে অলআউট হয় ১৫২ রানে। নবম ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়ার আগে ৮৩ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৮১ রান করেন নাইম। তানজিমের বলে শর্ট ফাইন লেগে শরিফুলকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই ওপেনার। পরের বলে হাসান মাহমুদকে ফিরিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান তানজিম।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তানজিদ এবং সাইফ। ৩৫ বলে ১৬ রান করা সাইফকে ফেরান নাহিদুল ইসলাম। তাকে লংঅফে হাঁকাতে গিয়ে নাইম শেখক ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাইফ। তারপর ৫২ রানের জুটি গড়েন তানজিদ এবং সৌম্য। হাফ সেঞ্চুরি করলেও ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি তিনি।

৪৯ বলে সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৮ রান করে রিশাদের বলে ফিরে যান তানজিদ। মিড উইকেটে দিপুকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান সৌম্য এবং জয়। ৪০ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য, ১৮ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন জয়।
 

আরো পড়ুন: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ