নাইমের ১৭৬, প্রাইম ব্যাংকের রেকর্ড ও ১৭৩ রানের জয়

ছবি: ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন নাইম শেখ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ৪২৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ষষ্ঠ ওভারে ইমতিয়াজ হোসেন আউট হওয়ার পর পাওয়ার প্লে শেষের আগে ফিরেছেন মিজানুর রহমানও। প্রত্যাশিতভাবে দ্রুত রান তুললেও উইকেট বাঁচাতে পারেনি তারা। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৭৬ রান তোলে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। একটু পরই ফিরেছেন ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন।
নাইমের ১৭৬, প্রাইম ব্যাংকের রেকর্ড ৪২২
১২ ঘন্টা আগে
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তরুণ এই ওপেনার আউট হয়েছেন ৩৮ বলে ২৯ রান করে। পরবর্তীতে মাইশুকুর রহমান ও আইচ মিলে জুটি গড়ে তোলেন। অধিনায়ক মাইশুকুর ৩৪ রানে ফিরলে ভাঙে তাদের দুজনের জুটি। ভালো শুরু পেলেও অলক কাপালি ৩০ রানের বেশি করতে পারেননি। বাকিদের কেউই আইচকে সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আইচ ফিরেছেন ৯৬ রানের ইনিংস খেলে। ব্রাদার্সকে ২৪৯ রানে অল আউট করার দিনে রিশাদ তিনটি এবং হাসান ও খালেদ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের পেসার আল আমিন হোসেনকে চার মেরে শুরুটা করেছিলেন নাইম। আরেক ওপেনার সাব্বির শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্বক। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৭৬ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। ১৩.২ ওভারে একশ ছোঁয়ার পর সাব্বিরের মতো নাইমও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। দারুণ ব্যাটিং করা সাব্বির আউট হয়েছেন ১৮.২ ওভারে সময় ৭৩ রানের ইনিংস খেলে।
সাব্বির ফিরলেও রান তোলার গতি কমেনি প্রাইম ব্যাংকের। ৮২ বলে সেঞ্চুরি এবং ১০৬ বলে দেড়শ ছুঁয়ে প্রাইম ব্যাংকের রান পাহাড়ের স্বপ্ন দেখান নাইম। যদিও বাংলাদেশের ব্যাটারদের মাঝে লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলে বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন ১৭৬ রানে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে অপরাজিত ২০৮ রান করেছিলেন আবাহনীর হয়ে খেলা সৌম্য সরকার।

লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশের ব্যাটারদের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি। সেটিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও ২৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে নাইমকে। তবে বাঁহাতি ওপেনারের ইনিংসটি বাংলাদেশের ব্যাটারদের মাঝে লিষ্ট ‘এ’ পঞ্চম ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। এই তালিকায় দুইয়ে আছেন অভিজ্ঞ রাকিবুল হাসান। ২০১৭ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে ১৯০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
সৌম্যকে ছোঁয়া হলো না নাইমের
১৩ ঘন্টা আগে
তিনে থাকা এনামুল হক বিজয় ১৮৪ রান করেছিলেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে, ২০২২ সালে। ২০১৮ তে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে মুমিনুল হক করেছিলেন ১৮২ রান। নাইম ফিরলেও দলের রানের চাকা ঠিকই সচল রেখেছিলেন মামুন ও সাজ্জাদুল। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৪ রান।
শেষের দিকে মামুন ২২ বলে ৪০ রান করে আউট হলেও সাজ্জাদুল রিপন অপরাজিত ছিলেন ৩৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে। সাব্বির, নাইম, মামুন ও সাজ্জাদুলদের এমন ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪২২ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো দলের এটিই সর্বোচ্চ রানের পুঁজি। তাদের ব্যাটে প্রাইম ব্যাংক ছাড়িয়ে গেছে আবাহনীকে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান তুলেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আবাহনীর হয়ে সেদিন সেঞ্চুরি করেছিলেন এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্তরা। বাংলাদেশের লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের মতো তিন ও চারেও আছে প্রাইম ব্যাংকের নাম।
২০২২ সালে বিকেএসপিএর ৪ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রান করেছিল তারা। গত বছর ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষেই ৩৮০ রানের পুঁজি পেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ডিপিএলের বাইরে লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৩৮৬ রানের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন মুমিনুল হকরা।