নাইমের ১৭৬, প্রাইম ব্যাংকের রেকর্ড ৪২২

ছবি: সাব্বির হোসেন ও নাইম শেখ ১৪০ রানের জুটি গড়েছেন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

শামীম হোসেন পাটোয়ারি তখনও উইকেটে থাকায় আবাহনীকে ছাড়িয়ে যাওয়াার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। দারুণ ছন্দে থাকা শামীম অবশ্য ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। নাইমকে ফেরানোর ওভারে বাঁহাতি ব্যাটারের উইকেটও নিয়েছেন সালাউদ্দিন। এমন সময় সংশয় তৈরি হলেও শেষের দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাজ্জাদুল হক রিপনের ঝড়ে ৮ উইকেটে রেকর্ড ৪২২ রানের পুঁজি পায় প্রাইম ব্যাংক।
নাইমের ১৭৬, প্রাইম ব্যাংকের রেকর্ড ও ১৭৩ রানের জয়
৮ ঘন্টা আগে
ব্রাদার্স ইউনিয়নের পেসার আল আমিন হোসেনকে চার মেরে শুরুটা অবশ্য করেছিলেন নাইম। আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেন শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্বক। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৭৬ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। ১৩.২ ওভারে একশ ছোঁয়ার পর সাব্বিরের মতো নাইমও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। দারুণ ব্যাটিং করা সাব্বির আউট হয়েছেন ১৮.২ ওভারে সময় ৭৩ রানের ইনিংস খেলে।
সাব্বির ফিরলেও রান তোলার গতি কমেনি প্রাইম ব্যাংকের। ৮২ বলে সেঞ্চুরি এবং ১০৬ বলে দেড়শ ছুঁয়ে প্রাইম ব্যাংকের রান পাহাড়ের স্বপ্ন দেখান নাইম। যদিও বাংলাদেশের ব্যাটারদের মাঝে লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলে বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন ১৭৬ রানে। নাইম ফিরলেও দলের রানের চাকা ঠিকই সচল রেখেছিলেন মামুন ও সাজ্জাদুল। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৪ রান।

শেষের দিকে মামুন ২২ বলে ৪০ রান করে আউট হলেও সাজ্জাদুল রিপন অপরাজিত ছিলেন ৩৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে। সাব্বির, নাইম, মামুন ও সাজ্জাদুলদের এমন ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪২২ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো দলের এটিই সর্বোচ্চ রানের পুঁজি। তাদের ব্যাটে প্রাইম ব্যাংক ছাড়িয়ে গেছে আবাহনীকে।
সৌম্যকে ছোঁয়া হলো না নাইমের
১৩ ঘন্টা আগে
২০১৮ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান তুলেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আবাহনীর হয়ে সেদিন সেঞ্চুরি করেছিলেন এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্তরা। বাংলাদেশের লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের মতো তিন ও চারেও আছে প্রাইম ব্যাংকের নাম।
২০২২ সালে বিকেএসপিএর ৪ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রান করেছিল তারা। গত বছর ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষেই ৩৮০ রানের পুঁজি পেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ডিপিএলের বাইরে লিষ্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ৩৮৬ রানের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন মুমিনুল হকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব- ৪২২/৮ (৫০ ওভার) (নাইম ১৭৬, সাব্বির ৭৩, সাজ্জাদুল ৫০*, মামুন ৪০; আল আমিন ৩/৭৭)