promotional_ad

বিশ্বরেকর্ড গড়ে কিউইদের উড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া

promotional_ad

অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক স্টেডিয়ামটিতে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০০৫ সালে। নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সেই ম্যাচটিতে রীতিমত ঝড় তুলেছিলেন দুই দলের ব্যাটসম্যানেরা।  


শুরুতে ব্যাটিং করে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং অপরাজিত ছিলেন মাত্র ৫৫ বলে ৯৮ রান করে। তাঁর এই ব্যাটিং তান্ডবেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছিলো সফরকারিরা। জবাবে স্কট স্টাইরিস খেলেছিলেন মাত্র ৩৯ বলে ৬৬ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস। যদিও ম্যাচটিতে স্বাগতিকরা পরাজিত হয়েছিলো ৪৪ রানের বড় ব্যবধানে।


সেই  ম্যাচটির দীর্ঘ ১৩টি বছর পর আবারো সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইডেন পার্কের মাঠে মুখোমুখি হলো কিউইরা। আর এবারের ম্যাচটিতেও যথারীতি পরাজিত দলের কাতারে থেকেই মাঠ ছাড়তে হলো তাদের। তবে এবার শুধু জয় নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি অজিরা, পাশাপাশি বিশ্বরেকর্ডও গড়েছে তারা। 


আজ (শুক্রবার) ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণে আয়োজিত ত্রিদেশীয় টি টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টানা চার ম্যাচে জয়ের ধারা বজায় রাখলো অজিরা।  


নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ২৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জিতে নিয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের অস্ট্রেলিয়া। আর এরই সাথে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়লো সফরকারিরা। 



promotional_ad

এর আগে এই রেকর্ডটি ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলো ক্যারিবিয়ানরা। 


তবে আজকের ম্যাচের শুরুটা যেভাবে করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানেরা তাতে করে মনে হয়েছিলো এই ম্যাচে অজিদের রীতিমত উড়িয়েই দিবে তারা। কেননা এদিন টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ওপর তান্ডবলীলা চালিয়েছিলেন দুই কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং কলিন মুনরো ।


বিশেষ করে গাপটিল যেন ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ব্রত নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন আজ। মাত্র ৫৪ বলে ৯ ছক্কা এবং ৬টি চারের সাহায্যে তাঁর ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটিতেই তার চাক্ষুষ প্রমাণ মেলে।


গাপটিলের সাথে পাল্লা দিয়েই খেলেছেন মুনরো। সেঞ্চুরি না পেলেও মাত্র ৩৩ বলে ৭৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে ছিলো ৬টি ছয় এবং সমান সংখ্যক চারের মার। আর মূলত এই দুই ব্যাটসম্যানের তান্ডবেই ২০ ওভারে ২৪৩ রানের পাহাড় গড়তে সক্ষম হয় কিউইরা। গাপটিল ও মুনরো ছাড়াও টিম সেইফার্ট ১২, মার্ক চাপম্যান ১৬ এবং রস টেইলর ১৭ রান করেন। 


কিন্তু এই রানও যে জয়ের জন্য যথেষ্ট নয়, এর প্রমাণ হাতেনাতে কিউইদের দ???খিয়ে দিয়েছে সফরকারি অস্ট্রেলিয়া। ২৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ডি আরকি শর্ট।



৫টি ছয় এবং ৪টি চারে ২৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে ওয়ার্নার ফেরার আগে শর্টের সাথে জুটি গড়েন ১২১ রানের। আর এতেই মূলত দলের জয়ের ভীত নির্ধারিত হয়। ওয়ার্নার ফিরে গেলে শর্টও খেলেন ৪৪ বলে ৭৬ রানের আরেকটি বিধ্বংসী ইনিংস (৩ ছয়, ৮ চার)।


তাঁর এই দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদেই অজিদের জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আর শেষের দিকে গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলের ১৪ বলে ৩১ এবং অ্যারন ফিঞ্চের ১৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংসের সুবাদে ৭ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারিরা।  


এখন পর্যন্ত এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে ফাইনালে পা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। অপরদিকে তিন ম্যাচে ১ জয় নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে অবস্থান করছে কিউইরা। তবে সিরিজের আরেক দল ইংল্যান্ড তিন ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি। সুতরাং আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মরিয়া হয়েই মাঠে নামবে তারা। 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball