পার্থে আরেক মার্শ

ছবি:

অ্যাশেজের প্রথম দুই টেষ্টে অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নেমেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। আর তাতেই দুই টেষ্টে ইংলিশদের হারিয়ে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে যায় অজিরা। তবে পার্থের তৃতীয় টেষ্টের জন্য অলরাউন্ডার মিচেল মার্শকে ১৩ জনের স্কোয়াডে ভিড়িয়েছে অজিরা।
মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন মার্শ। এরপর কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর প্রায় ৯ মাস দলের বাইরে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে পার্থের পেস বান্ধব উইকেটকে মাথায় রেখে পেসার চ্যাড সাইয়ের্সের পরিবর্তে মার্শকে দলে অন্তর্ভুক্তি করে অজি নির্বাচকরা।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটে বলে ভালো ফর্মে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। শেফিল্ড শিল্ডের ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভালো ফর্মের জের ধরে নির্বাচকদের নজরে আসেন তিনি। তবে ৮ মাস পরে দলে ফিরলেও পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার হিসেবে খেলার ইঙ্গিত দেন মার্শ।

'একজন অলরাউন্ডার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পেলে আমাকে প্রথম সারির পেসারদের মত প্রতি ম্যাচে ৩০-৪০ ওভার বল করার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু গত ৮ মাস নিজেকে একজন পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে খুবই পরিশ্রম করেছি, যা আমার জন্য খুবই আনন্দের।,' নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেছেন মার্শ।
এদিকে অ্যাশেজের প্রথম দুই টেষ্টে খেলেছেন মিচেল মার্শের ভাই শন মার্শ। ব্রিসবেনে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাট হাতে ফিফটির পাশাপাশি অ্যাডিলেডে সেঞ্চুরি করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বড় মার্শ। অ্যাশেজে ব্যাট হাতে ভাইয়ের এই পারফরম্যান্সে বেশ খুশি ছোট মার্শ।
'এটা শনের (মার্শ) জন্য খুবই আনন্দের যে সে দলে ফিরেছে। এই গ্রীষ্মে শুরু থেকে সে ব্যাট হাতে ভালো ফর্মে আছে। সে যেভাবে পারফর্ম করছে এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগছে।'