এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখছেন মাশরাফি

ছবি:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে প্রতিটি দলে ৫ জন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলছেন। যেখানে, গত আসরে খেলেছিলেন ৪ জন করে। ফলে, একজন করে স্থানীয় ক্রিকেটার খেলার সুযোগ হারাচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই।
এই কারণেই মূল একাদশে জায়গা পেতে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পড়তে হচ্ছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন রংপুর রাইডার্স দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে রংপুর রাইডার্স দলপতি জানিয়েছেন, ‘বিদেশি পাঁচ জন খেলায় স্থানীয় খেলোয়াড়দের একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। এখান থেকে লড়াই করে যে ভালো খেলবে তার জন্য ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু আছে।’

বিপিএলের শুরু থেকেই বল হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছেন আবু জায়েদ রাহী। আবু হায়দার রনিও ফিরে পেয়েছেন নিজেকে। জাকির হাসান, আরিফুল হক ও আফিফ হোসেন ধ্রুবরাও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছেন এই তরুণরা।
এই তরুণ তুর্কিদের উদাহরণ টেনেই মাশরাফি জানিয়েছেন, ‘দেখেন আবু জায়েদ ও খুব ভালো বল করেছে। সর্বাধিক উইকেট শিকারি। রনিও ভালো করেছে। রিয়াদও ভালো করছে। ও হয়তো জাতীয় দলে আছে। এর বাইরে বিজয় খুব ভালো ব্যাটিং করছে। মিঠুনও ভালো ব্যাটিং করছে। এমন অনেকেই আছে যারা জাতীয় দলে ছিলোনা তারাও অনেক ভালো করেছে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। একাদশে প্রতিযোগিতা কাজে লেগেছে।’
বিপিএলের চলতি আসরের সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। ঢাকার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে শনিবার। অনেক দলেরই টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেছে। কারও শেষ হবে দুই এক দিনের মধ্যেই। যাদের ম্যাচ বাকি আছে তারা সেই ম্যাচগুলোকে কাজে লাগাতে পারবেন বলেও বিশ্বাস মাশরাফির।
মাশরাফির ভাষ্যমতে, ‘অনেকের টুর্নামেন্ট ৬ তারিখের পর শেষ হয়ে যাবে তাদের যে একটা দুইটা ম্যাচ আছে আশা করি তারা তা কাজে লাগাবে। আর যারা আরও খেলবে ফাইনাল পর্যন্ত, খেলবে তাদের জন্যতো আরও বেশি সুযোগ আছে। সব মিলিয়ে এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ইতিবাচক।’