আবরারের সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে যুবাদের বড় জয়

ছবি: সেঞ্চুরির পর জাওয়াদ আবরার, বিসিবি

কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে তার ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৫ বলে ১১৩ রানের ইনিংসে ভর করে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৩৬ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ১৯০ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার যুবাদের ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ৬ ম্যাচের সিরিজের ৪ ম্যাচ শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ যুব দল।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে লঙ্কানদের উড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে বাংলাদেশের যুবারা
৩০ এপ্রিল ২৫
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা। তারা ৩৬ রানের মধ্যেই হারায় ৪ উইকেট। এই বিপর্যয় থেকে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ভিমাথ দিনসারা। এর বাইরে চামিকা হিনাতিগালা করেন ১৮ বলে ৩০ রান।

এর বাইরে আর মাত্র দুজন দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন। ৪৬ বলে ২৩ রান করেছেন কাভিজা দিমানশিথ। আর ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন রাসিথ নিমসারা। বাংলাদেশ যুব দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন আল ফাহাদ। এর বাইরে দুটি করে উইকেট নেন সানজিদ মজুমদার ও আজিজুল হাকিম। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সামিউন বশির, দেবাশিষ দেবা ও কালাম সিদ্দিকী।
আবরারের অপরাজিত ১৩০ রানের ইনিংসে যুবাদের বড় জয়
২৮ এপ্রিল ২৫
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই শুরু পায় বাংলাদেশ। কালামকে নিয়ে আবরার যোগ করেন ৪৯ রান। কালাম আউট হন ১৯ রান করে। এরপর আজিজুল বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি জাওয়াদকে। তিনিও ফেরেন ২৩ রান করে। রান আউটে জাওয়াদের সঙ্গে তার জুটি ভাঙে।
এরপর তৃতীয় উইকেটে রিজান হোসেনকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন আবরার। এই দুজনে মিলে যোগ করেন ১৩৫ রান। মূলত এই জুটির সুবাদেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশের যুবারা। আবরার ১১৩ রানে ফিরে গেলে একটু চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে রিজন আউট হন ৭৭ বলে ৮৫ রান করে।
নিচের দিকের ব্যাটারদের মধ্যে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ৩২, দেবাশিষ দেবা ১৯ ও সাইমুন বশির করেন ২৩ রান। আর তাতেই তিনশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষদিকে নেমে আল ফাহাদ অপরাজিত থাকেন ১৯ রান করে। রশিথ নিমসারা একাই নেন ৩টি উইকেট। দুটি উইকেট পান থারুশা নভদয়া। একটি উইকেট নেন সানুজা নিন্দুওয়ারা।