শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু অস্ট্রেলিয়ার
ছবি:
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৪ ওভার, এক মেইডেন এবং ১২ রান খরচায় মেগান শুটের শিকার ৩ উইকেট। ডানহাতি পেসারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মেয়েদের ৯৩ রানে আটকে দিতে মাঝের সময়ে বাকি কাজটা সেরেছেন সোফি মোলিনিউ। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুতই অ্যালিসা হিলি ও জর্জিয়া ওয়ারেহামকে হারালেও অস্ট্রেলিয়াতে পথ হারাতে দেননি বেথ মুনি। বাঁহাতি ওপেনারের অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংসে লঙ্কানদের ৬ উইকেটে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল অস্ট্রেলিয়া।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ৯৪ রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই হিলির উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। উদেশিকা প্রবাধানির ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন হিলি। পরের ডেলিভারিটা অবশ্য প্রবাধানি করেছিলেন একটু সামনে, ফুলার লেংথে। মিডল স্টাম্পের ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ওয়ারেহাম। প্রবাধানির অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে কভারে ঠেলে দিয়ে রান নিতে চেয়েছিলেন। তবে কাভিশা দিলহারির দারুণ থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় ৩ রান করা ওয়ারেহামকে। ১৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুনি এবং এলিস পেরি। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি সুগান্ধিকা কুমারী।
বাঁহাতি স্পিনারের মিডল স্টাম্প বরাবর লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন পেরি। দারুণ ব্যাটিং করা পেরিকে ফিরতে হয় ১৭ রানে। পাঁচে নামা অ্যাশলে গার্ডনারকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মুনি। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৩ রান। গার্ডনারের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। ইনোকা রানাভিরা বলে হার্শিতা মাধভীর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
১৩ রানের ইনিংস খেলা গার্ডনারের বিদায়ের পর ফোবি লিচফিল্ডকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন মুনি। অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেটের জয়ের দিনে ৩৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংষ খেলে অপরাজিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। তাকে সঙ্গ দেয়া লিচফিল্ড করেছেন ৯ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন প্রবাধানি, সুগান্ধিকা এবং রানাভিরা।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। চামারি আতাপাত্তুর ব্যর্থতার দিনে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন নিলাকশি ডি সিলভা। এ ছাড়া হার্শিতা ২৩ এবং ১৬ রান করেছেন আনুশকা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শুট তিনটি এবং মোলিনিউ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ওয়ারেহাম এবং গার্ডনার।