আল-আমিনকে বিসিবির সতর্কবার্তা
ছবি:

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসরে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার আল আমিন হোসেনকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই পেস তারকার বোলিংকে বৈধ ঘোষণা করে ছাড়পত্র দিয়েছে।
অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হওয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে আর কোনো বাঁধা নেই আল-আমিন হোসেনের। সুখবরের পাশাপাশি একটি সতর্কবার্তাও আছে এই পেস তারকার। দুই বছরের মধ্যে দুবার রিপোর্টেড হলে নিষিদ্ধ থাকতে হবে এক বছর।
গত ২৮ নভেম্বর বিপিএলে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আল আমিন নির্দিষ্ট একটি ডেলিভারির কারণে অভিযুক্ত হন। কিন্তু বিপিএল শেষে ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে রিভিউ কমিটি নিশ্চিত হন যে তার বেশ কয়েকটি ডেলিভারিই ত্রুটিপূর্ণ ছিল। ফলে, বোলিং অ্যাকশন শোধরাতে যেতে হয় এই পেসারকে।

পরে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও বিকেএসপির কোচ মাসুদ হাসানের সঙ্গে এই পেসার অ্যাকশন শোধরানোর কাজ করেন বিকেএসপিতে। অ্যাকশন শুধরে গত রোববার মিরপুর একাডেমি মাঠে ক্যামেরার সামনে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন এই পেসার। বৃহস্পতিবার সেই পরীক্ষার ফলাফল জানান বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
“কোচ সালাউদ্দিন ও বিকেএসপির একজন কোচের সঙ্গে ২৮ দিন কাজ করেছে আল আমিন। পরীক্ষা দেওয়ার পর আমরা তার বোলিংয়ের ভিডিও পর্যালোচনা করেছি। সেখানে ১৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে যে বোলিং করার কথা, তার চেয়ে অনেক কম আছে।”
জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চলতি আসর ও ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে অংশ নিতে কোনো সমস্যা নেই আল-আমিন হোসেনের, “অনেক উন্নতি করেছে সে। বোঝা যাচ্ছে ভালো কাজ করেছে। সামনে যে লিগ আছে সেটির সঙ্গে সে প্রিমিয়ার লিগও খেলতে পারবে।”
তবে ভবিষ্যতের জন্য এই পেসারকে, সতর্কও করে দিয়েছে রিভিউ কমিটি, “দুই বছরের মধ্যে দুইবার রিপোর্টেড হলে এক বছর খেলার সুযোগ থাকবে না। সেটা সে ভালো করেই জানে। সে কথা দিয়েছে, আর সমস্যা হবে না। নিজেই স্বীকার করেছে, দু-একটি ডেলিভারিতে তার সমস্যা ছিল। সেগুলো সে কাটিয়ে উঠেছে। মনে হয় না ভবিষ্যতে আর সমসা পড়তে হবে তাকে।”
২৮ দিন কাজ করার কথা বলা হলেও আল আমিন সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পেরেছেন দুই সপ্তাহ। কারণ বাকি দুই সপ্তাহ ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন ডেঙ্গু থেকে উঠেই। এদিকে, তার সঙ্গে কাজ করার পরই আশাবাদী ছিলেন কোচ সালাউদ্দিন।
আল-আমিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে এবারই প্রথম প্রশ্ন উঠেনি। এর আগে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টে এই পেসারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। পরে ওই বছরের নভেম্বরে চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল হাতে ফেরেন আল-আমিন হোসেন।