promotional_ad

দীর্ঘকাল পর দুই ভাইয়ের সেঞ্চুরি

promotional_ad

সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েছিলেন দুই ভাই শন মার্শ  ও মিচেল মার্শ। ২০০১ সালের পর শনিবার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দেখেছিল ভাই জুটির সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের রেকর্ড।


ইংল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়ার পথে মার্শ ভাইরা পঞ্চম উইকেটে ১০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিলেন। দিন শেষ হওয়ার আগে বড় ভাই শন মার্শ অপরাজিত ছিলেন ৯৮ রানে আর মিচেল মার্শ ছিলেন ৬৩ রানে। 


চতুর্থ দিনের শুরুতেই দিনের পঞ্চম বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শ ভাইদের বড় জন শন। তবে মিচেলের সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে পানি পান বিরতি পর্যন্ত। বিরতির পর ২ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। 


যদিও সেঞ্চুরি করার পরের বলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন মিচেল। ১০১ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন তিনি। আর ১৫৬ রান করে রান আউট হয়ে বিদায় নেন শন মার্শ। এটা ছিল ৩৪ বছর বয়সী শন মার্শ ও ২৬ বছর বয়সী মিচেল মার্শের একসাথে খেলা চতুর্থ টেস্ট। 


তবে দুই ভাইয়ের এক সাথে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি এবারই প্রথম নয়। এর আগেও অস্ট্রেলিয়া দলের সাবেক দুই লিজেন্ডারি ব্যাটসম্যান মার্ক ওয়াহ এবং স্টিভ ওয়াহ একই ইনিংসে এক সাথে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।



promotional_ad

২০০১ সালের অ্যাশেজে কেনিংটন ওভাল মাঠে স্টিভ এবং মার্ক মিলে ১৯৭ রানের জুটি গড়েন। স্টিভ ১৫৭ ও মার্ক ১২০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও কিংসটনে ১৯৯৫ সালে উইন্ডিজদের বিপক্ষে ২৩১ রানে জুটি গড়েছিলেন এই দুজন। সেবার সেঞ্চুরিরও দেখা পেয়েছিলেন এই দুইজন লিজেন্ডারি অজি ব্যাটসম্যান।


অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাদা পোষাকে ভাইদের মধ্যে রেকর্ড জুটি গড়েছেন আরেক দুই কিংবদন্তি ইয়ান চ্যাপেল ও গ্রেগ চ্যাপেল। ওয়েলিংটনে ১৯৭৪ সালে চ্যাপেল ব্রাদার্স নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৪ রান তুলেছিলেন।


ছোট ভাই গ্রেগ খেলেছিলেন ২৪৭ রানের অসাধারণ ইনিংস। আর বড় ভাই ইয়ানের ব্যাট থেকে আসে ১৪৫ রান। সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন দুজন। দুজনে যথাক্রমে ১৩৩ ও ১২১ রান করেছিলেন।


এই তালিকায় আছে জিম্বাবুয়ের ফ্লাওয়ার ব্রাদার্সের নামও। ১৯৯৫ সালে হারারেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৬৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ক্রিকেটার।  বড় ভাই অ্যান্ডি ১৫৬ করলেও ছোট ভাই গ্র্যান্ট খেলেছিলেন ২০১ রানের ইনিংস।


এছাড়াও পাকিস্তানের সাবেক দুই ক্রিকেটার মুশতাক মোহাম্মদ ও সাদিক মোহাম্মদের নামও আছে এই তালিকায়। ১৯৭৬ সালে পাকিস্তানের হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ভাই সেঞ্চুরি করেছিলেন।



ছোটভাই সাদিক ওপেনিংয়ে নেমে পুরো ইনিংস জুড়ে ব্যাট করেছিলেন। ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর মুশতাকও তুলে নিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১০৩ রান।


তবে শন এবং মিচেলের এই সেঞ্চুরি বাকি সব ক্রিকেট ব্রাদার্সদের সেঞ্চুরি থেকে আলাদা। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটে এমন কোন রেকর্ড নেই যেখানে তাদের ক্রিকেটার বাবাও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এবং তাদের সন্তানরাও শতক হা???কিয়েছেন।


একই টেস্টে শতক হাঁকানো মিচেল এবং শনের বাবা জিওফ মার্শেরও টেস্টে সেঞ্চুরি আছে ৪টি। এবারই প্রথম একই টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকালেন কোন ক্রিকেটার বাবার সন্তানেরা।   



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball