মিরপুরের পর মেলবোর্নের উইকেটে আইসিসির খড়গ

ছবি:

অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি)। মেলবোর্ন টেস্টে মুখোমুখি হওয়া ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও এখানকার উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি দুই দলের কেউই।
এমনকি টেস্ট শেষে দুই দলের অধিনায়কই সংবাদ সম্মেলনে এসে মেলবোর্নের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেন। পাঁচ দিনের টেস্টে দুই দলের বোলাররা মিলে শিকার করেছেন মাত্র ২৪ উইকেট।
ব্যাটসম্যানরাও যে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন তা কিন্তু নয়। মেলবোর্ন টেস্টের পাঁচদিনের উইকেটই একই রকম ছিলো বলেও অভিযোগ উঠেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম দিনেও উইকেটের শুরুর দিনের চরিত্র অব্যাহত ছিল।
আর তাই এমসিজি'র এমন সাদামাটা উইকেট নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে চারদিকে। অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে উইকেটের এরকম চরিত্র নিয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি'র কাছে রিপোর্ট করেছেন।

এরপর আইসিসিও বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। এমনকি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতি-নির্ধারকরা মেলবোর্নের এই উইকেটকে 'বাজে' বলেও ঘোষণা দিয়েছে ইতিমধ্যে। এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়,
'মেলবোর্নের উইকেট অনেক মন্থর গতির ছিল। এমনকি বাউন্সটাও ঠিকমত হচ্ছিল না। টেস্টের দিন অগ্রসর হলেও উইকেটের এই চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। উইকেটের স্বভাব পঞ্চম দিনে এসেও কোন ধরনের লক্ষণীয় পরিবর্তন ঘটেনি।
মেলবোর্নের এই উইকেট ব্যাট-বলের কোন দৃষ্টিগোচর প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারেনি। উইকেটটি ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব সহায়ক ছিলনা। বোলাররাও এখান থেকে খুব একটা সুবিধা নিতে পারেনি।'
The ICC has announced that the pitch for the fourth Test between Australia and England at the Melbourne Cricket Ground has been rated as “poor”.
More ➡️ https://t.co/TaFZuLN5g0 pic.twitter.com/YcL0ZzJ5g9
পরবর্তীতে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মিরপুর স্টেডিয়ামের নামের পাশে দুটি ডি-মেরিট পয়েন্ট যোগ করে। তবে অস্ট্রেলিয়ার কোন মাঠ এবারই প্রথমবারের মত এইরকম অভিযোগের শিকার হলো।
১৪ দিনের মধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) বিষয়টি নিয়ে নোটিশ করতেও বলেছে অাইসিসি। সঠিক কারণ দেখাতে না পারলে হয়তো ডি-মেরিট যোগ হতে পারে এমসিজি'র এই উইকেটের কপালেও।