রঞ্চির কারণেই রান পাচ্ছেন না সৌম্য!

ছবি:

বিপিএলের চলতি আসরে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না সৌম্য সরকারের। চিটাগংয়ের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে এক প্রান্তে অধিনায়ক লুক রঞ্চি ঝড় তুললেও অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ সৌম্য। চলতি আসরে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই এমন চিত্র দেখতে হচ্ছে ভাইকিংসদের।
রঞ্চির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রতি ম্যাচেই চাপে পড়ে যাচ্ছেন সৌম্য। একথা স্বীকার করলেন সৌম্য নিজেই। এই বাঁহাতির রান ক্ষুদা আছে, আছে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ইচ্ছাও। তবে কোনো ভাবেই যেন কিছু হচ্ছে না। শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে অনুশীলন শেষে একথা জানিয়েছেন সৌম্য।
এই বাঁহাতির ভাষ্যমতে, ‘আমার মনে হয় ওর (লুক রঞ্চি) জন্যই আমার চাপটা বেশি বাড়ছে। ও যেভাবে ব্যাটিং করে বুঝতে পারি না, ব্যাটিং উইকেট নাকি বোলিং উইকেট। আমার ২ রান, ওর দেখি ৩০-৪০ রান হয়ে যায়। তখন চিন্তার বিষয় থাকে, আমারও কিছু করতে হবে। দুইটা বল ডট গেলে মনে হয় আসলে ব্যাটিং উইকেট। আমিই হযতো মারতে পারছি না।’

তবে এমন চাপের ইতিবাচক দিকও দেখছেন সৌম্য। চাপ থাকলেও এর থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, ‘পার্টনার রান করলে দুইটা বল ডট যাওয়ার পরও চিন্তা করার সুযোগ থাকে। ওর ব্যাটিং থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সে সিনিয়র খেলোয়াড় তার কাছ থেকে অনেক কিছু নেওয়ার আছে। আমি চেষ্টা করছি সেসব নেওয়ার।’
বিপিএলের চলতি আসরে ৪টি ম্যাচে ৩০ কিংবা তার অধিক রান পেয়েছেন সৌম্য। তারপর ইনিংসগুলোকে আর বড় করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে নিজেও আক্ষেপে পুড়ছেন সৌম্য। তার দল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকায়, শেষ চার খেলা হচ্ছেনা বললেই চলে। তবে, বাকি দুই ম্যাচে ভালো শুরু পেলে ইনিংস বড় করার দিকে মনোযোগ দিতে চান তিনি।
এই ওপেনারের ভাষায়, ‘আসলে ৩০ করে তো চার-পাঁচটাতে আউট হলাম। তো ওইগুলা বড় করতে পারলে সবাই বলত সৌম্য রান করছে। ৩০-৪০ এ তো হয় না। নিজের কাছেও খারাপ লাগে যে নিয়মিত ৩০-৪০ এ আউট হচ্ছি। বেরনো উচিত, কেন পারছি না আসলে জানি না। তারপরও চেষ্টা থাকবে অবশ্যই এখান থেকে বেরনোর। আর এগুলো বড় করতে পারলে নিজের জন্যও ভাল হতো, বিপিএলটাও ভাল হতো। এখনও দুইটা ম্যাচ আছে। যদি ৩০-৪০ এ যেতে পারি তাহলে চেষ্টা করব শেষ করার, যতটুকু সম্ভব।’
বাকি দুটি ম্যাচে জয় দিয়েই শেষ করতে চায় চিটাগং ভাইকিংস। একথা জানিয়েছেন দলটির ওপেনার সৌম্য সরকার। শেষ দুই ম্যাচ জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে মানসিক তৃপ্তি পাবেন বলে বিশ্বাস সৌম্যর, ‘দুইটা ম্যাচ জেতার চেয়ে চারটা ম্যাচ জেতা ভাল। এখান আশা থাকবে দুইটা নয়, চারটা জিতে শেষ করার। যদি শেষ দুইটা জিততে পারি নিজেদের কাছে ভাল লাগবে।’