বরিশালকে হারিয়ে বাড়ি ফিরল খুলনা

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
১১ রানে ফাহাদের ৪ উইকেট, চট্টগ্রামের জয় ১০ উইকেটে
১৪ ডিসেম্বর ২৪
প্লে অফ থেকে আগেই ছিটকে যাওয়ায় ম্যাচটি খুলনা টাইগার্সের জন্য ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। ফরচুন বরিশালের জন্যও খানিকটা তেমনই। তবে সাকিব আল হাসানের দল আগেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছে। এমন ম্যাচে জিততে শেষ ২ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। হাবিবুর রহমান সোহান ও মাহমুদুল হাসান জয় ইবাদত হোসেনের করা ১৯তম ওভারে ১৭ রান নিলে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে যায় তারা। শেষ ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ বোলিংয়ে আসলে তার তিন বলে এক ছক্কা ও এক চার মারে খুলনার ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন সোহান। পুরো ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা জয় অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে।
মিরপুরে ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে বরিশালের মতো ওপেনিং নিয়ে জুয়া খেলে খুলনা। অ্যান্ড্রু বালবির্নির সঙ্গে এদিন অফ ফর্মে থাকা সাব্বির রহমানকে ওপেনিংয়ে পাঠায় তারা। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি খুলনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বিপিএলের এবারের আসরে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে ফেরেন সাব্বির। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ৬ বলে ২ রান করা এই ব্যাটার। পাওয়ার প্লেতে শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটে ৩৮ রান তুলতে পারে খুলনা।
যদিও নেমে সুবিধা করতে পারেননি শাই হোপ। ডি সিলভার লেংথ ডেলিভারিতে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৫ রান করা এই ব্যাটার। ওপেনিংয়ে নামা বালবির্নি অবশ্য শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলছিলেন। তবে খালেদ আহমেদের স্লোয়ার ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হন ৩৩ বলে ৩৭ রান করা এই আইরিশ ব্যাটার। ১৪ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ করলে শেষ ৬ ওভারে খুলনার প্রয়োজন হয় ৭০ রান।

দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে খুলনার জয়ের আশা জাগিয়ে রাখেন জয়। পাঁচে নেমে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে ফিরতে হয় ১৩ রান করা ইয়াসির আলী রাব্বিকে। শেষ দিকে জয়ের অপরাজিত ৬৪ এবং সোহানের ৯ বলে ৩০ রানের ক্যামিওতে তিন বল বাকি থাকতে জয় পায় খুলনা।
ইমপ্যাক্ট নয়, কে কত রান করেছে মানুষ এটাই দেখে: অঙ্কন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনিং নিয়ে খানিকটা জুয়া খেলে বরিশাল।সপুরো বিপিএলেই ব্যাট হাতে ছন্দহীন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনটি ত্রিশ পেরোনো ইনিংস থাকলেও টি-টোয়েন্টির প্রত্যাশা যে পূরণ করেছেন সেটা বলার সুযোগ নেই। কখনও ছয়ে ব্যাটিং করেছেন আবার কখনও তিনেও দেখা গেছে মাহমুদউল্লাহও। তবুও ব্যাট হাতে দলের প্রত্যাশা মেটাতে পারছিলেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। মাহমুদউল্লাহকে ছন্দে ফেরাতে এদিন এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে পাঠায় বরিশাল।
এদিকে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিরপুর শের-ই-বাংলায় ঘটে অদ্ভুত ঘটনা। লোডশেডিংয়ের কারণে সন্ধ্যায় ৭ টা ৬ মিনিট থেকে ৭ টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত খেলা বন্ধ ছিল। খেলা শুরু হওয়ার এক বল পর শফিকুল ইসলামের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে মিড অন দিয়ে চার মারেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের ওভারে নাসুম আহমেদের ঝুলিয়ে দেয়া বলে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে জয়ের হাতে ক্যাচ দেন ৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ।
খুলনার বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৩৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি বরিশাল। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরই অবশ্য উইকেট হারায় তারা। তিনে নামা চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা এদিন আউট হয়েছেন লং অনে হাবিবুর রহমান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১৪ রান করা ডি সিলভা ফেরার পর ব্যাটিংয়ে এসে নাহিদুল ইসলামের ওপর চড়াও হন সাকিব। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের ওভারে দুটি ছক্কা ও চারে ১৮ রান নেয় বরিশাল।
যদিও সাকিবের ঝড় দ্রুতই থামান হাসান মুরাদ। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাসুমের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। ফলে ১৪ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে ফিরতে হয় বরিশালের অধিনায়ককে। একই ওভারে আউট হয়েছেন বিজয়ও। সাকিবের মতো উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৭৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বরিশালের হাল ধরেন প্রিটোরিয়াস ও ইবরাহিম জাদরান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭০ রান।
২১ রান করা ইবরাহিমের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। এদিকে ইনিংসের শেষ ওভারে ২৯ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা প্রিটোরিয়াসকে ফেরান সাইফউদ্দিন। সেই ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ ও করিম জানাতকেও আউট করেছেন ডানহাতি এই পেসার। তবুও ১৬৯ রানের পুঁজি পায় বরিশাল। খুলনার হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।