ঘরের মাঠ বলেই সিরিজ জয়ের আশা তাসকিনের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শ্রীলঙ্কা সফরে ফেরার আশায় তাসকিন
১৫ মে ২৫
টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টিতে যাই হোক না ওয়ানডেতে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হয়ে হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ঘরের মাঠে সাকিব আল হাসানরা যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সবশেষ দশ বছরের ওয়ানডে পরিসংখ্যান অবশ্য এমন বার্তাই দিচ্ছে। নিজেদের মাটিতে সমীহ জাগানিয়া দল হয়ে ওঠা বাংলাদেশের লক্ষ্য এবার ইংল্যান্ড বধ। ঘরের মাঠে খেলা বলেই সিরিজ জয়ের আশা তাসকিন আহমেদের।
২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক ঘরের মাঠে ৫৭ ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যার মাঝে ৪০টিতেই জিতেছে সাকিব-তামিম ইকবালরা। জয়-পরাজয়ের শতকরা হিসেবে সবার উপরে টাইগাররা। এই সময়ে ভারত, পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তারা।

২০১৫ সালের পর কদিন আগে ভারতকে আবারও সিরিজ বাংলাদেশ। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর কেবল মাত্র ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতলেও সিরিজ নিজেদের করে নিতে পারেনি তৎকালীন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। তবে সেরাটা দিয়ে এবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ জিততে চায় বাংলাদেশ।
৭ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের একাই ধসিয়ে দিলেন রাকিবুল, বিপর্যয়ে বাংলাদেশও
৭ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘আসলে লজিক দিয়ে সব হয় না। আমি মনে করি নির্দিষ্ট দিনে যে ভালো ক্রিকেট খেলবে ওই জিতবে। আপনি সবমিলিয়ে চিন্তা করলে ওরা আমাদের থেকে এগিয়ে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ঘরের মাটিতে যেহেতু খেলা আশা তো করতেই পারি সিরিজ জয়ের।’
ডানহাতি এই পেসার আরও বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই সহজ হবে না। সব সংস্করণেই ওরা বড় দল, শক্তিশালী দল। এটাও বিশ্বাস আছে ঘরের মাটিতে আমরাও অন্যতম শক্তিশালী দল। লড়াই হবে ইনশাআল্লাহ এবং আমরা সেরাটাই দেবো।’
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে জস বাটলারকে ফিরিয়ে ম্যাচের মোমেন্টাম বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন তাসকিন। এদিকে ২০১৬ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার পর বাটলার যখন দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই তাকে ফিরিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার। এবার অবশ্য বাটলারের উইকেট নয় বরং ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটারদের ফিরিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখতে চান তাসকিন।
ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘আসলে নতুন ম্যাচ নতুনভাবে শুরু হবে। অবশ্যই চাইবো যে ওদের সব সেরা ব্যাটারদের উইকেট পেতে। কিন্তু দিনশেষে আবার প্রক্রিয়াতেই যেতে হবে। আসল জিনিসটা হলো যদি জিততে পারি আর জয়ের পেছনে যদি আমার অবদান থাকে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।’