সিলেটকে টেনে ধরে কোয়ালিফায়ারের লড়াই জমিয়ে দিলো রংপুর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিপিএলে শাস্তি পেয়ে ডিপিএলে ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ সাকিব
৩১ জানুয়ারি ২৫
সিলেট স্ট্রাইকার্সের ১৭০ রানের জবাব দিতে নেমে যেমন শুরুর প্রয়োজন ছিল রংপুর রাইডার্সের দুই ওপেনার সেটাই যেন করলেন। রনি তালুকদার ও নাইম শেখের শতরানের জুটিতে জয়ের ভিত পায় রংপুর। রনি ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করলেও পঞ্চাশ পেরোনো হয়নি নাইমের। তাদের দুজনকে বিদায় করলেও আটকানো যায়নি রংপুরের জয়। টেবিল টপার সিলেটকে ৮ উইকেটে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার খেলার দাবি আরও জোরালো করলো ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ বেশি খেলা সিলেটের পয়েন্ট ১৬। আর ১০ ম্যাচ খেলা তিন দলের পয়েন্ট সমান হওয়ায় জমে উঠলো কোয়ালিফায়ারের লড়াই।
শুরুতে উইকেট এনে দিতে না পারলেও প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের নিয়মিতই চেপে ধরতেন মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। তাদের দুজন চলে যাওয়ায় সিলেট শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ ইরফান ও গুলবাদিন নায়েব। একাদশে সুযোগ পেলেও আমিরের অভাব পূরণ করতে পারেননি ইরফান। পাওয়ার প্লেতে সিলেটের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন রংপুরের দুই ওপেনার।
নাইম ও রনির দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তোলে রংপুর। বিশেষ করে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন রনি। থিসারা পেরেরার অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভার দিয়ে ছক্কা মেরে ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। বিপিএলের এবারের আসরে এটি রনির দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। পেরেরার সেই ওভারে দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান আনেন এই ব্যাটার।
ইনিংসের দশম ওভারে ইরফানের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে নাইমের সঙ্গে শতরানের জুটি পূর্ণ করেন রনি। এর একবল পরই অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। ইরফানের হাফ ভলি ডেলিভারিতে এক্সট্রা কভার দিয়ে খেলতে গিয়ে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন ৩৫ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা রনি। আরেক ওপেনার নাইম দেখেশুনে হাফ সেঞ্চুরির পথে হাঁটলেও তাকে সেটা করতে দেননি রেজাউর রহমান রাজা।
ডানহাতি এই পেসারের দ্রুতগতির ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন ৩২ বলে ৪৫ রান করা নাইম। এরপর শোয়েব মালিক ও নুরুল হাসান সোহান মিলে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন। দারুণ ব্যাটিং করা মালিক অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে। মালিককে সঙ্গ দেয়া সোহান অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ১৭ রান করে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রংপুরের বোলারদের চা??ের মুখে পড়ে সিলেটের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও হৃদয়। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও শেখ মেহেদিরা আঁটসাঁট বোলিংয়ে চেপে ধরলে পাওয়অর প্লেতে বিনা উইকেটে মাত্র ২৬ রান তোলে সিলেট। ইনিংসের নবম ওভারে সিলেটের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ।
গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের হয়ে খেলবেন ওমরজাই
৭ জুলাই ২৫
ডানহাতি এই পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে সাজঘরে ফেরেন ধুঁকতে থাকা শান্ত। বাঁহাতি এই ওপেনার এদিন আউট হয়েছেন ২২ বলে ১৫ রান করে। দারুণ ছন্দে থাকলেও এদিন সুবিধা করতে পারেননি জাকির হাসান। মেহেদির লেংথ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে অ্যারন জোন্সের হাতে ক্যাচ দেন ৭ রান করা এই ব্যাটার।
১১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৫ রান তোলা সিলেটকে এগিয়ে নেন হৃদয় ও মুশফিক জুটি। ছন্দ ধরে রেখে হাসানের লেগ সাইডের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। দুই চার ও এক ছক্কায় হাসানের সেই ওভার থেকে ১৭ রান নেয় সিলেট। পরের ওভারে জোন্সের ওপর চড়াও হন সিলেটের এই দুই ব্যাটার।
তিন চারে ডানহাতি এই স্পিনারের ওভার থেকে আসে ১৫ রান। সেই সঙ্গে ১৪.২ ওভারে দলের শতরান পূর্ণ করে সিলেট। রান তোলার গতি বাড়িয়ে হৃদয়কে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন মুশফিক। সেই সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে পূর্ণ হয় হৃদয়ের সঙ্গে তার শতরানের জুটি। শেষ ৫ ওভারে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬০ রান। সেঞ্চুরির কাছে যাওয়া হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ৮৫ রানে আর মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রানের ইনিংস খেলে। রংপুরের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান ও মেহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৭০/২ (২০ ওভার) (হৃদয় ৮৫*, মুশফিক ৫৫*, শান্ত ১৫; মেহেদি ১/২০)
রংপুর রাইডার্স- ১৭৬/২ (১৮ ওভার) (রনি ৬৬, নাইম ৪৫, মালিক ৪১*; রাজা ১/৩৫)