বাংলাদেশকে ভোগালেন সেঞ্চুরিয়ান রাসুলি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
মিরপুর শের এ বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইমার্জিং কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ২২৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আফগানরা।
এদিন ম্যাচটিতে প্রথমে টসে জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের পুঁজি পায় সামিউল্লাহ শিনওয়ারির দল।
আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ডারউইশ রাসুলি। ১২৮ বলে ৭ চার এবং ৭ ছক্কার সাহায্যে সাহায্যে ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ এবং সৌম্য সরকার।
এদিন টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে হাসান মাহমুদের তোপের মুখে পরেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। স্কোরবোর্ডে ২৪ রান যোগ করতেই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে দলটি। ৩টি উইকেটই নেন হাসান।

দুই ওপেনার আব্দুল মালিক (১) এবং শহিদুল্লাহ (৩) রানে উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর শাখাওয়াত হোসেনকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন এই পেসার।খানিক পর সৌম্য সরকারকে উইকেট ছুঁড়ে দেন মুনির আহমেদ।
৪ উইকেট হারালেও অধিনায়ক সামিউল্লাহ শিনওয়ারিকে নিয়ে জুটি গড়েন ডারউইশ রাসুলি। এই দুজনের জুটি ভাঙ্গেন তানভির আহমেদ। শিনওয়ারিকে ১০ রানে ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় করেন এই পেসার।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ওয়াহিদউল্লাহ শাফাককে সঙ্গে নিয়ে দলকে ১০০'র ওপর পুঁজি এনে দেন রাসুলি। তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। দলীয় ১৪৩ রানে ওয়াহিদউল্লাহ ৩৪ রানে তানভিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরলেও একাই লড়তে থাকেন রাসুলি।
তারিক স্টানিকজাইকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ২০০ রানের পুঁজি এনে দেয়ার পাশাপাশি ১২০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে এই দুজনের উইকেট তুলে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি ভাঙ্গেন সৌম্য।
১১৩ রানে ফেরেন রাসুলি এবং তারিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। শেষ বলে আব্দুল ওয়াসি রান আউট হলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান দল। ফাইনালের টিকিট পেতে ২২৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আফগানিস্তানঃ ২২৮/৯ (৫০ ওভার)
(ডারউইশ রাসুলি ১১৪) (হাসান মাহমুদ ৩/৪৮, সৌম্য সরকার ৩/৫৮)