তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিচের স্তরের লিগগুলোতে ম্যাচ পাতানো এবং পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং নিয়মিত ঘটনা। চলমান তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগেও পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের শিকার হতে হয়েছে ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্স নামের একটি ক্লাবকে। মাঠেই ক্লাবটির কর্মকর্তা এবং ক্রিকেটাররা প্রতিবাদ করেছেন পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) ফতুল্লায় কামরাঙ্গীর চর স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্স। ম্যাচটি ছিল রেলিগেশনের ভাগ্য নির্ধারণী। কামরাঙ্গীর চর স্পোর্টিং ক্লাবের দেয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ১২৮ রানেই অল আউট হয় ঢাকা রয়্যাল। রান তাড়া করতে নেমে ঢাকা রয়্যাল ক্রিকেটার্স ৪০ রানে ৫ উইকেট হারালেও ষষ্ঠ উইকেট জুটি তাদের রেখেছিল জয়ের পথে।
এক পর্যায়ে তাদের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১৯। ১৪.৩ ওভার আগে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল মাত্র ৩০ রান। সেখান থেকে ৯ রানের মধ্যে পড়ে যায় তাদের শেষ ৫ উইকেট। ম্যাচ হেরে যায় তারা ২০ রানে। ৩৬ তম ওভারের চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে মোজাম্মেল এবং আব্দুর রহমানকে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ আউট দেন। দুটি আউট নিয়েই ক্লাবটির অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা রয়্যালস ক্রিকেটার্সের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ রুবেল মনে করেন যারা এই গুরু দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরা ক্রিকেটকে ধ্বংস করছেন। ম্যাচ রেফারিকে বলেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তাদের ক্রিকেটারদের পায়ে বল লাগলেই আম্পায়ার আউট দিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ এনে সাব্বির বলেছেন, 'দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের প্রস্তুতিই এমন, ওই দলকে বলে দেয়া হয়েছে পায়ে লাগলেই তোমরা আপিল করবে। আমরা আউট দিয়ে দেব। ম্যাচ রেফারি মঞ্জুর ভাইকে বলেছি। তিনি বলেছেন রিপোর্টে লিখে দেবেন। আমি বলেছি আপনার রিপোর্টটি পাবো কি করে? কতিপয় কয়েকজন অফিশিয়ালের কারণে এই জিনিসগুলো ঘটবে এটা আমাদের খারাপ লাগে। তাঁরা সুযোগ নিচ্ছে ক্রিকেটটাকে ধ্বংস করছে।'
এই ম্যাচের ফিল্ড আম্পায়ার জহিরুল ইসলাম প্রথম বিভাগের দল পূর্বাচল ক্রিকেট ক্লাবের একজন কর্মকর্তা। আরেকজন ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন সাইদুর রহমান। ঘরোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ে যুক্ত হিসেবে যাদের বিপক্ষে অভিযোগ বেশি, তাদের একজন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্যকর কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।