জাম্পার শূন্যতা ভোগাবে অস্ট্রেলিয়াকে, বিশ্বাস শ্রীরামের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএলের আগে চেন্নাইয়ের সহকারী বোলিং কোচের দায়িত্বে শ্রীরাম
২৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
কদিন পরেই বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। আসন্ন এই সিরিজকে সামনে রেখে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলই নিজেদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া দল পৌঁছে গেছে ভারতে।
অস্ট্রেলিয়া এই সফরে শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছে। অজিদের বিশাল বহরে জায়গা হয়নি অ্যাডাম জাম্পার। ভারত সফরে জাম্পা না থাকায় অস্ট্রেলিয়া ভুগতে পারে বলে মনে করেন দলটির সাবেক সহকারী কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে আছে চার স্পিনার নাথান লায়ন, অ্যাস্টন অ্যাগার ও টড মারফি। একমাত্র লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন। তারা থাকলেও ভারতের উইকেট জাম্পাই সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করতে পারতেন বলে মনে করেন শ্রীরাম।

তিনি বলেন, ‘যদি জাম্পা ভারতে খেলত তাহলে ব্যক্তিগত ভাবে তার বোলিং দেখতে ভালো লাগত। ভারতের পিচে কীভাবে ব্যবহার করবে সেই বিষয়ে ধারণা ওর রয়েছে। এটা এমন একটা বিষয় যার দিকে আমি নজর রাখি। আমি মনে করি এই পিচকে ব্যবহার করার ক্ষমতা জাম্পার রয়েছে।’
আইপিএলে জাম্পার বদলি হিসেবে মারকুটে ব্যাটারকে নিলো হায়দরাবাদ
১৫ এপ্রিল ২৫
অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের দলে নিয়মিত জাম্পা। যদিও সাদা পোশাকে ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এমন পারফম্যান্সের কারণেই তাকে রাখা হয়নি ভারত সফরের দলে। জাম্পাকে অস্ট্রেলিয়া দলে না দেখে খুবই হতাশ শ্রীরাম।
তিনি বলেছেন, ‘সে ভারতের টেস্ট ম্যাচ খেলতে ভীষণভাবে আগ্রহী। আমাকে কয়েকবার ফোন করে বলেছে, আমি আগামী ভারত সফরে থাকতে পারব বলে খুবই উত্তেজিত। এই সিরিজে ভালো পারফরম্যান্স করতে চেয়েছিল। সেই জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলিং করেছে। প্রতিটি ম্যাচে তিনটি করে উইকেট নিয়েছে। তাই এই সিরিজেও না থাকায় আমি খুব হতাশ।’
ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ অ্যাগার-সোয়েপসনরা কতটা সামাল দিতে পারবেন না নিয়েও সন্দিহান শ্রীরাম। তিনি যোগ করেন, ‘সেইপ্পো (সোয়েপসন) এবং অ্যাশের (আগার) জন্য এটি চ্যালেঞ্জ হবে, তাদের অ্যাকশন একসাথে ধরে রাখা, পিচ থেকে একই জিপ করা বেশ কঠিন হতে চলেছে। ইনিংসের শুরুতে ওরা যেমন কার্যকারী। শেষের দিকে তেমনটা করতে পারছে কিনা সেটা দেখতে হবে।’
শ্রীরাম কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার পেস ইউনিট নিয়েও। তিনি বলেন, ‘আমাদের পেসাররা নিজেদের কাজ সম্পর্কে জানে। তবে কামিন্স বা হ্যাজেলউড দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্পেলে ফিরে ভালো বল করতে পারে। এটাই তাদের আধুনিক খেলায় এগিয়ে রাখে। যেখানে আমাদের স্পিনাররা এতে অভ্যস্ত নয়।’