‘বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছিলাম আমরা কতটা ভালো’, উগান্ডাকে জেতানোর পর রিয়াজাত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এবারই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে উগান্ডা। প্রথম বৈশ্বিক আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি জিততে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে উগান্ডাকে। পাপুয়া নিউগিনিকে তিন উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করল উগান্ডা। ম্যাচ শেষে বাঁধভাঙা উল্লাস করতে দেখা যায় উগান্ডার ক্রিকেটার ও সাপোর্টিং স্টাফদের।
'সি' গ্রুপের ম্যাচে বৃহস্পতিবার আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একপর্যায়ে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে উগান্ডা। তারপরও দলটিকে জিতিয়ে দেন রিয়াজাত আলি শাহ।
৫৬ বলে ৩৩ রান করেন রিয়াজাত। উগান্ডার সহ-অধিনায়কের স্ট্রাইক রেট ছিল ৫৮.৯২, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্তত ৩০ রান করা অথবা ৪০ বল খেলা সবচেয়ে ধীর ইনিংস। এমন ইনিংসে অবশ্য ম্যাচসেরাও হন রিয়াজাত।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণ করে সমর্থকদের প্রতি ভালোবাসা জানানোর সময় রিয়াজাত বলেন, 'এটি আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ এবং বিশ্বকাপে প্রথম জয়। আমাদের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। বড় মঞ্চে আসা, অসাধারণ অনুভূতি। দেশে ও বিশ্বজুড়ে আমাদের সকল সমর্থককে ধন্যবাদ। আমরা ভালো করি বা খারাপ, তারা সবসময় আমাদের সমর্থন করেছে।'
'প্রথম ম্যাচের পর আমরা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে আমরা জানতাম কতটা প্রতিভাবান আমরা এবং বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছিলাম আমরা কতটা ভালো।'
এদিকে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আবেগী হয়ে পড়েন উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। এই জয় তাদের কাছে কতোটা বিশেষ কিছু, সেটাই বারবার মনে করিয়ে দেন তিনি। একইসঙ্গে সমর্থকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান উগান্ডার অধিনায়ক।
তিনি বলেন, 'খুবই বিশেষ জয় আমাদের জন্য। বিশ্বকাপের প্রথম জয় এর চেয়ে স্পেশাল হতে পারে না। ছেলেরা যা করেছে আমি অনেক গর্বিত। বিশ্বকাপে নিজের দেশকে জয় এনে দেওয়া বিশেষ অনুভূতি। কী দারুণ একটা সফর! ক্রিকেটার ও দেশে বোর্ডের ৩-৪ বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল। বিশ্বকাপে আসা স্পেশাল ছিল, তবে এটি (জয়) আরও বেশি স্পেশাল।'
'আমাদের দারুণ সমর্থকগোষ্ঠি আছে যারা বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তে দলের সঙ্গে ভ্রমণ করে ও দলকে সমর্থন করে। আমার মনে হয় না, তারা কোনো জয়ের আশা নিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে এসেছে। তবে আমরা অন্তত এটুকু (ম্যাচ জেতা) তাদের জন্য করতেই পারি। আশা করি, তাদের কাছেও এটি আমাদের মতোই বিশেষ অনুভূতি।'