শাস্তির মুখোমুখি সুজন-মেহেদী-পুরান-মোসাদ্দেক

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন
১৬ মার্চ ২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙায় শাস্তি পেলেন খালেদ মাহমুদ সুজন, শেখ মেহেদী হাসান, নিকোলাস পুরান এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই চারজনকেই পৃথক চারটি ঘটনায় আর্থিক জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ক্রিকেটের স্পিরিট বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ম্যাচ ফি'র ৩০ শতাংশ অর্থ জরিমানা দিতে হচ্ছে খুলনা টাইগার্সের হেড কোচ সুজনকে। একইসঙ্গে দুটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হচ্ছে তার নামের পাশে।
বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ এর ২.২০ ধারা অনুযায়ী এই শাস্তি পেয়েছেন সুজন। ম্যাচ শেষে দুই আম্পায়ার আলী আমরান রাজন এবং রবীন্দ্র উইমালাসারির অভিযোগের ভিত্তিতে সুজনকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।

বিসিবির ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো পরিচালককে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। সুজন অবশ্য ম্যাচ রেফারির দেয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন। আর তাই কোনো প্রকার শুনানির প্রয়োজন দরকার হচ্ছে না।
১২ ফেব্রুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচ জয়ের পর হেলমেট খুলে সেটা ব্যাট দিয়ে আঘাত করে জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়েন রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। এই ঘটনায় তাকে ম্যাচ ফি'র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেয়া হয়েছে।
একই ম্যাচে বিসিবির নীতি ভেঙেছেন এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলা নিকোলাস পুরান। রংপুরের এই ক্যারিবিয়ান রিক্রুটকে ম্যাচ ফি'র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেয়া হয়েছে।
প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে শৃঙ্খলা ভাঙায় শাস্তি পেয়েছেন মোসাদ্দেক। তাকে ম্যাচ ফি'র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেয়া হয়েছে।
সুজনের মতো ম্যাচ রেফারিদের দেয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন বাকি তিনজনও। আর তাই কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হচ্ছে না।