করোনা তিন বছর থাকলেও বিসিবির ক্ষতি হবে না: মল্লিক

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মহামারী করোনার প্রকোপে বন্ধ রয়েছে বিশ্বের সকল প্রকার ক্রিকেটীয় ইভেন্ট। খেলা না থাকায় বড় রকমের আর্থিক ক্ষতি হাতছানি দিচ্ছে বোর্ডগুলোকে। বড় বড় বোর্ডগুলোতো বটেই, ছোট বোর্ডগুলো খেলা বন্ধ থাকায় রয়েছে মহাবিপদে। বড় বড় বোর্ডগুলো যখন আর্থিক সাহায্যের জন্য এদিক ওদিক ছুটছে ঠিক তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দেখা গেল সম্পুর্ণ উল্টো চিত্র।
করোনা বিপর্যয় সামলে উঠার জন্য পর্যাপ্ত রসদ আগে থেকেই মজুদ করে রেখেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি। বড় অংকের ফিক্সড ডিপোজিট এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দিতে যাচ্ছে বিশ্বের চতুর্থ ধনী এই ক্রিকেট বোর্ডটিকে।

সম্প্রতি বিসিবির পরিচালক ও অর্থ কমিটির প্রধান ইসমাইল হায়দার মল্লিক দেশের একটি শীর্ষ অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিসিবি সভাপতি থাকার সময় ১১৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেখে গিয়েছিলেন। বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী ৭ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ থেকে ৬৫০ কোটি টাকার মতো।'
ইসমাঈল হায়দার আরও বলেন, 'এই ক্ষতির (করোনার) ধাক্কা সামলে ওঠার সক্ষমতা বোর্ডের আছে। আগামী ২-৩ বছর এই অবস্থা চললেও খুব একটা সমস্যা হবে না।'
একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টিম স্পন্সর এবং সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান এই পরিচালক। মল্লিক এ প্রসঙ্গে বলেন, 'দেশের বাস্তবতা আমাদের বুঝতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা আগের মতো নেই। আমাদের সম্ভাব্য স্পন্সর যারা, তাদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং সময় চলছে। তাদেরকে গুছিয়ে ওঠার সময় দিতে হবে। আমাদেরও হোম অফিস চলছে, এখন একটা বিশেষ পরিস্থিতি চলছে।'
'বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্র্যান্ড ভ্যালু কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন জার্সি স্পন্সরশীপ থেকে যে টাকা আয় ছিল, এখন সেই আয় অনেক অনেক গুণ বেশি। আমরা চাই দীর্ঘ মেয়াদে ও প্রত্যাশিত অঙ্কের স্পন্সর যেন পাই। সেটির জন্য সময় ও পরিস্থিতি অনুকূলে থাকতে হবে।'