তামিম ভাই সিরিয়াস ঝাড়ি মেরেছে: সাব্বির

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ক্রিকেটে জুনিয়র খেলোয়াড়রা সিনিয়র খেলোয়াড়দের ঝাড়ি খাননা এমন নজির নেই বললেই চলে। খেলার সময় কোনো ভুল করলে সবার সামনেই ঝাড়ি খেতে হয় জুনিয়রদের। কেউ কম খান কেউবা বেশি। অনেক সময় সেই বকা অনেক সিরিয়াস পর্যায়ে চলে যায়।
এমনই এক সিরিয়াস বকা খেয়েছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমান। সেটিও আবার আউট হবার কারণে। খুব ভালো খেলতে থাকা সাব্বির বাজে শট করে আউট হবার কারণে বকা খেয়েছিলেন। আর সেই বকা দিয়েছিলেন জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল।

সম্প্রতি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে এসে তিনি এ কথা জানান। তিনি আরও বলেন, একবারই খেয়েছিলেন বকা সিনিয়রদের। সাব্বির বলেন, 'তামিম ভাই একদিন সিরিয়াস ঝাড়ি মেরেছিল। শ্রীলঙ্কার সাথে প্রথম ম্যাচে আমি ৬০ করে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন তামিম ভাই সিরিয়াস ঝাড়ি মেরেছিল আমাকে।'
জাতীয় দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অনুসরণ করেন তারই সতীর্থ মুশফিকুর রহীমকে। জাতীয় দলের সতীর্থদের ভেতর সবচেয়ে বেশি কাছের মনে করেন মুশফিককে। একই সঙ্গে হতে চান মুশফিকুর রহীমের মতোও।
সাব্বির বলেন, 'মুশফিকুর রহীম। তাঁর পাশের সিটে আমি বসি। সবচেয়ে বেশি ক্লোজ আমি। উনি ব্যাটগুলা সাজায় রাখে, আমি সেগুলো নাড়ায় দেই। আমার মতো সাজাই। জুতা সাজিয়ে রাখেন, সেগুলোও আমি সরিয়ে রাখি। এলোমেলো জিনিসটা ওনারও পছন্দ না, আমারও না। আমি তাঁর মতো গোছানো না, তবে চেষ্টা করি তাঁর মত হতে।'
'সবচেয়ে অগোছালো তাইজুল, আমার পাশের সিটে বসে। ওর জুতা আমার দিকে আসে, ওর ব্যাগ আমার দিকে আসে, আমি সেগুলো ফেলে দেই। এই জন্য ওর সাথে গ্যাঞ্জামও বেশি লাগে আমার। তাইজুলের পাশের সিটে আবার তামিম ভাই। তাইজুলের ব্যাগ, জুতা তামিম ভাইয়ের ওদিকে চলে গেলে ভাই বকে ওকে, আমার দিকে চলে আসলে আমি ফেলে দেই।'
একবিংশ শতাব্দিতে এসেও ভালো খেলার কারণ হিসেবে বেশ কিছু কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন সাব্বির। তিনি বিশ্বাস করেন যেই ম্যাচে ভালো খেলেছেন, সেই ম্যাচে ব্যবহার্য্য এসব জিনিস পরবর্তি ম্যাচে ব্যবহার করলে সেই ম্যাচেও ভালো খেলতে পারবেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে এই হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান বলেন, 'হ্যাঁ আছে আমার। একটা জুতা, একটা জার্সি। প্রথম ম্যাচে যেই জার্সি পড়ে আমি ব্যাটিং করবো সেই জার্সি পড়েই প্রতি ম্যাচে মাঠে নামি আমি। কোনো ম্যাচে ভালো খেললে ওই ম্যাচে যেই জুতা পড়েছিলাম, বাকি সব ম্যাচেও সেই জুতা পড়ার চেষ্টা করি আমি। মোজাটাও এমন। আমি একটা স্কিন পড়ি গেঞ্জির নিচে, কালো রঙের। গেঞ্জিটি ছিঁড়ে গেছে। তারপরও ফেলি নাই। সেটা এখনও পড়ি আমি।'