একবার হলেও আফ্রিদিকে ছক্কা মারতে চান সাব্বির

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
শহীদ আফ্রিদির ভক্ত সাব্বির রহমান। সাবেক এই পাকিস্তানী ক্রিকেটারকে নিজের রোল মডেল হিসেবে মানেন তিনি। তবে আফ্রিদির বোলিংয়ের বিপক্ষেই একবার হলেও ছক্কা হাঁকানোর ইচ্ছা আছে বাংলাদেশের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। বৃহস্পতিবার ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভে এসে এ কথা জানিয়েছেন সাব্বির।
মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত সাব্বির। দ্রুত রান তোলা বা ফিনিশারের ভূমিকায় খেলে থাকেন এই ব্যাটসম্যান। শহীদ আফ্রিদিও একই ভূমিকায় ক্রিকেট খেলছেন ২০ বছর ধরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ান এই অলরাউন্ডার।
সাব্বির জানিয়েছেন, ক্রিকেট বুঝতে শুরু করার পর বা ক্রিকেটের ব্যাপারে ধারণা পাওয়ার পর থেকেই আফ্রিদিকে অনুসরণ করছেন তিনি। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের রোল মডেলকে প্রথমবার সামনা সামনি দেখার সৌভাগ্য হয় তার।

এছাড়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বেশ কয়েকবার একে অপরের বিপক্ষে খেলেছেন দুজন। সাব্বির বলেন, 'ছোটবেলায় আমি যখন ক্রিকেট বোঝা শুরু করছি বা জানতে শুরু করি ক্রিকেট নামে একটা খেলা আছে এবং আফ্রিদি নামে একজন খেলোয়াড় আছে। তখন থেকে তাকে আমি অনুসরণ করি।'
'২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টির একটা ম্যাচ ছিল বাংলাদেশে। সেখানে আফ্রিদি খেলেছিল। আমার এখনও একটা ইচ্ছা আছে বিপিএলে সুযোগ পেলে, কার সে আন্তর্জাতিক খেলে না। ওর বলে একটা ছয় মারবো। এখন পর্যন্ত পারিনি, ৩-৪বার মুখোমুখি হয়েছি। ইচ্ছা আছে যদি পারি একটা ছক্কা মারার চেষ্টা করবো।' আরও যোগ করেন তিনি।
ক্রিকেটের শুরুতে ছক্কা হাঁকাতে পারতেন না সাব্বির। কিন্তু ক্লাস ফাইভে পড়াকালীন ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন এই ব্যাটসম্যান। তখন থেকেই মারমুখী ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস পান তিনি। তখনই বুঝে যান যে ছক্কা হাঁকানো কঠিন কিছু নয়।
সাব্বির বলেন, 'আমাদের পাড়ায় যখন খেলা হতো ছোটবেলায় আমি ছক্কা হাঁকাতে পারতাম না। টেনিস বলেও না। আমাকেই কেউ ব্যাটিংই দিতো না, ৯-১০ নাম্বারে খেলতাম, সারাদিন ফিল্ডিং করতাম। মনে আছে একটা ক্যাচ ধরেছিলাম সে সময়। সেখান থেকে আমাকে রশিদ ভাই (ছোট বেলার কোচ) বেঁছে নিয়ে অনুশীলনে ডাকেন।'
'ছয় মারতে পারতাম না, গায়ে শক্তি ছিল না, কেউ নিতো না। স্কুলে একবার বড় ভাইদের সঙ্গে ম্যাচ হয় সেখানে বিমান বন্দর মাঠে আমি একদিন ছয় বলে ছয় ছক্কা মেরে বসি। অবিশ্বাস্য! সবাই হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তখন বিশ্বাস হয় যে আমিও ছক্কা মারতে পারি। তখন থেকেই মনে হয়েছে ছক্কা মারাটা কঠিন কাজ না।' আরও যোগ করেন তিনি।