জ্যামাইকাতেও সবুজ উইকেট পাচ্ছে টাইগাররা?

ছবি:

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে পুরোপুরি বাউন্সি এবং সবুজ উইকেটই পেয়েছিলো সফরকারী বাংলাদেশ দল। এই ধরণের উইকেটে টাইগারদের খেলার অভিজ্ঞতা খুব একটা না থাকায় তার পরিণতি যে কি হয়েছে সেটি দেখা গিয়েছে ভালো করেই।
প্রথম টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের কাছে ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছে সাকিব আল হাসানদের। এবার দ্বিতীয় টেস্টেও একই অবস্থা হয় কিনা সেটা নিয়েই বর্তমানে চলছে জল্পনা কল্পনা। আর জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে অনুষ্ঠিতব্য সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও যে সবুজ উইকেটই পাচ্ছে বাংলাদেশ সেটি অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
টাইগারদের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও আশা করছেন এমনটাই। তার মতে অ্যান্টিগার মতোই উইকেট দেখা যাবে স্যাবাইনা পার্কে। দ্বিতীয় টেস্টের আগের দিন একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ালশ জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে আবারো সবুজ উইকেট দেখতে পেরে বেশ খুশি তিনি। স্যাবাইনা পার্কেও একই ধরণের উইকেট থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
'অ্যান্টিগার মতেই উইকেট আশা করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য তো কার্যকর হয়েছে। সবুজ সিমিং ও বাউন্সি উইকেট। ভালো লাগছে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সেসব উইকেট আবার ফিরে আসছে। মনে হয়, একটু দ্রুতই অবসর নিয়ে ফেলেছি!'

এই জ্যামাইকাতেই জন্ম হয়েছিলো কোর্টনি ওয়ালশের। এবার তার জন্মস্থলেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। নিজের জন্মভূমিতে ফিরতে পেরে বেশ আপ্লুত ওয়ালশ। আর এই ম্যাচটির জন্য অনেকটাই মুখিয়ে আছেন তিনি। পাশাপাশি উইকেটে ঘাস থাকবে বলেও প্রত্যাশা করছেন এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী। তার ভাষায়,
'ঘরে ফিরে ভালো লাগছে। টেস্ট ম্যাচটির জন্য মুখিয়ে আছি। এখানেও আশা করছি উইকেটে ঘাস থাকবে, বাউন্স থাকবে।' অ্যান্টিগা টেস্টে পেস সহায়ক উইকেট থাকার পরেও নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি টাইগার পেসাররা। আর সেই কারণে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জাও বরণ করে নিতে হয়েছে তাদের। তবে জ্যামাইকাতে ব্যর্থতা ভুলে জ্বলে উঠতে পারবেন রুবেল, রাব্বিররা বলে মনে করছেন ওয়ালশ। বলছিলেন,
'আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করতে হবে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের জন্য এটি আরেকটি ভালো সুযোগ। স্যাবাইনা পার্কে কিভাবে বল করতে হয়, এখানকার যতটুকু আমি জানি, অবশ্যই ওদেরকে অবশ্যই জানাব। আশা করি মাঠে গিয়ে ওরা সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারবে।'
প্রথম ম্যাচে শোচনীয় পরাজয়ের পরও হতাশ হতে নারাজ টাইগারদের এই বোলিং কোচ। বাংলাদেশের এখনও সুযোগ আছে নিজেদের প্রমাণ করে ঘুরে দাঁড়ানোর বলে অভিমত তার। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো খেলার চেষ্টা করতে টাইগারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই কিংবদন্তী। দেশের বাইরে বাংলাদেশ দলের রেকর্ড ভালো করার উপলক্ষ হিসেবেও দেখছেন তিনি এই সিরিজটি। তার বক্তব্য,
'প্রথম টেস্ট অবশ্যই আমাদের প্রত্যাশা মতো ভালো যায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব ভালো খেলেছে এবং জিতেছে। তবে আরেকটি টেস্ট আছে। আমাদের সুযোগ আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। আশা করি, আমরা যতটা পারি, ভালো খেলব। উন্নতি করত পারব। অবশ্যই এটি বড় এক পরীক্ষা। দেশের বাইরে আমাদের রেকর্ড ভালো নয়। আমরা চেষ্টা করব সেটি ভালো করার।'
এখন কথা হলো শেষ পর্যন্ত যদি ওয়ালশের ধারণা অনুযায়ী জ্যামাইকাতেও সবুজ উইকেট বানান কিউরেটররা তাহলে ক্যারিবিয়ান পেসারদের সামলানোর গুরু দায়িত্ব নিতে হবে তামিম, সাকিব, মাহমুদুল্লাহদেরকেই। আর বোলিংয়ে লাইন এবং লেন্থ ঠিক রেখে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে টাইগার পেসারদের। আর তেমনটি পারলেই হয়তো সাফল্য ধরা দিতে পারে এই টেস্টে।