আল-আমিনের বোলিং তোপে বিপদে রংপুর

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সঃঃ ১৭৩/৭ (২০ ওভার) (শানাকা ৭৫*, সৌম্য ২৬; গ্রেগরি ২/২৫, মুস্তাফিজ ২/৩৭)
রংপুর রেঞ্জার্সঃ ৩৬/৪ (৬ ওভার) (নবী ২*, নাঈম ৯*; আল-আমিন ২/১১, মুজিব ১/৫)

আল-আমিনের টানা দ্বিতীয়ঃ ফজলে রাব্বিকে বোল্ড করার ঠিক পরের বলে রংপুরের ইংলিশ রিক্রুট লুইস গ্রেগরিকে ডেভিড মালানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান পেসার আল-আমিন। টানা দ্বিতীয় উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তোলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত হ্যাট্রিক তুলে নিতে পারেননি তিনি।
আল-আমিনের প্রথমঃ ৩৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর রংপুরের হাল ধরতে ক্রিজে আসেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ। কিন্তু মাত্র এক রান করে আল-আমিন হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে।
ব্যর্থ জহুরুলঃ দলীয় ৩৩ রানের মাথায় আবু হায়দার রনির বলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন রংপুরের ডানহাতি ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলাম (৫)। ফলে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর।
শাহজাদকে ফেরালেন মুজিবঃ কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন রংপুরের দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং মোহাম্মদ নাঈম। আবু হায়দার রনির দ্বিতীয় ওভার থেকে ১২ রান নেন আফগান উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান শাহজাদ।
কিন্তু তিন নম্বর ওভারে বোলিংয়ে এসে শাহজাদকে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান তাঁরই স্বদেশী স্পিনার মুজিব উর রহমান। ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৩ রান করে আউট হন শাহজাদ।
এর আগে কুমিল্লার লঙ্কান রিক্রুট দাসুন শানাকার ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ৩১ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন শানাকা। তাঁর ইনিংসটি সজানো ছিল ৯টি ছয় এবং ৩ চারে।
এছাড়াও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন সৌম্য সরকার। রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন সঞ্জিত সাহা, মুস্তাফিজুর রহমান এবং লুইস গ্রেগরি। আর একটি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী।