৩৫০-৪০০ রানে চোখ বাংলাদেশের

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্তরা। বাংলাদেশকে দুইশর আগে আটকে দিয়ে ব্যাটিংয়েও ভালো শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের এগিয়ে দিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান ব্রায়ান বেনেট ও উইলিয়ামস। শেষের দিকে লিড বাড়িয়েছেন ওয়েসলি মাধেভেরে, নিয়াশা মায়াভো এবং রিচার্ড এনগারাভা। প্রথম দিনটা ভালো না গেলেও দ্বিতীয় দিনটা স্বস্তিতেই পার করেছে বাংলাদেশ।
কানাডা সুপার সিক্সটিতে মিরাজ-তানজিদের নাম
২০ এপ্রিল ২৫
মেহেদী হাসান মিরাজের ৫ উইকেটে জিম্বাবুয়ে অল আউট হয় ২৭৩ রানে। যদিও স্বাগতিকদের চেয়ে ৮২ রানে এগিয়ে প্রথম ইনিংসে থামে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেট ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৫ রানে পিছিয়ে থাকায় মিরাজ জানান, আপাতত তাদের লক্ষ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিড নেয়া। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫০ কিংবা ৪০০ রানের পুঁজি পেতে চায় বাংলাদেশ।

এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘দেখুন, প্রথমে তো আমাদের লিডটা পার করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে লিডটা যেন আমরা পার করতে পারি। তারপর আমাদের ব্যাটাররা দায়িত্ব নিয়ে যেন বড় স্কোর করতে পারে। এখন যে উইকেট আছে, আমার কাছে মনে হয় যদি প্রপার ব্যাটিং করতে পারি, যদি ৩৫০-৪০০ রান করতে পারি, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেয়া হয়, প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন। কারণ, উইকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। আমাদের ওই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’
মিরাজের ৫ উইকেটের পরও জিম্বাবুয়ের চাইতে পিছিয়ে বাংলাদেশ
৪ ঘন্টা আগে
জিম্বাবুয়ের লিডটা অবশ্য আরও কম হতে পারতো। বিশেষজ্ঞ ব্যাটারদের বেশিরভা ফিরলেও টেইলএন্ডাররা জিম্বাবুয়ের রান বাড়িয়েছেন। যেখানে পেসার এনগারাভা ৪৪ বলে অপরাজিত ২৮, মুজারাবানি ১৭ রান করেছেন। ফলে জিম্বাবুয়ের রান অনায়াসে আড়াইশ পেরিয়ে যায়। যদিও দ্বিতীয় দিনের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি মিরাজ। সেই সঙ্গে এটাও স্বীকার করছেন ৩০-৪০ রান বেশি হয়ে গেছে। তবে এটাকে চাপ হিসেবে দেখছেন না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
মিরাজ বলেন, ‘কাল কিন্তু ওরা এগিয়ে ছিল। কিন্তু আজকে যখন আমরা শুরু করেছি, অনেক ভালো বল করেছি গতকালের চেয়ে। আমরা যে প্রত্যাশা করেছি, তার ভেতর আটকাতে পেরেছি। হয়তো শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরা যে ৩০-৪০ রান করেছে, এটা অতিরিক্ত হয়েছে। আমার মনে হয় না এটা চাপ।’
‘আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি দায়িত্ব নিয়ে একটা ভালো স্কোর করতে পারি, ভালো সংগ্রহ দিতে পারি। আমরা পরে ডিফেন্ড করতে পারব। টেস্ট ক্রিকেটের এটাই একটা সৌন্দর্য আমার মনে হয়, একবার ওরা এগিয়ে থাকবে, একবার আমরা এগিয়ে থাকব। দিন শেষে ভালো যারা খেলবে তারাই ফল পাবে।’