ট্রফি জিততে ভাগ্যেরও সাহায্য লাগে: মাহমুদউল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মোহামেডানের নেতৃত্বে এবার মাহমুদউল্লাহ
১৬ এপ্রিল ২৫
১৯৯৯ সাল থেকে ওয়ানডে এবং ২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে বাংলাদেশ। তবে এতগুলো বছর পাড়ি দিলেও কোনও শিরোপা জিততে পারেনি দলটি। এমনকি শিরোপা জেতার সম্ভাবনাও সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। মূলত 'ভাগ্যের ছোঁয়া' ছাড়া বিশ্বকাপ জেতা যায় না বলে মনে করছেন দলটির অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এবার ২০ দলের বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর দল আছে 'ডি' গ্রুপে। সুপার এইটে যেতে হলে এই গ্রুপের পাঁচ দলের মধ্যে সেরা দুইয়ে থাকতে হবে। গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল। মাহমুদউল্লাহ'র মতে, ভক্তদের ভালোবাসা এবং ভাগ্যের ছোঁয়া থাকলে বিশ্বকাপ জয় অসম্ভব নয় বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সুযোগ সবসময় থাকে, কখনও আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। ইনশাআল্লাহ হয়তো এবার আমরা ভালো কিছু করব। ট্রফি জিনিসটা এটা আমার মনে হয় যে, একটু ভাগ্যেরও সাহায্য লাগে।’

‘আমরা কয়েকটা ইভেন্টে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। তবে, দুর্ভাগ্যজনক আমরা পারিনি। আমাদের জন্য একটি সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপে। আমাদের সমর্থন করুন, বিশ্বকাপে যা সম্ভব সবই করব আমরা।’
মুজারাবানি-নিয়াউচিদের নিয়ে গর্বিত আরভিন
৯ ঘন্টা আগে
বাংলাদেশ সময় ৮ জুন শুরু হবে শান্ত-মাহমুদউল্লাহদের বিশ্বকাপ মিশন। এই মিশনে ব্যক্তিগত কোনও চাওয়া নেই মাহমুদউল্লাহর। তার মতে, বাংলাদেশ কীভাবে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা করি না। দলের লক্ষ্য যদি অর্জন হয় ওটাতেই খুশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বলা যায় না, যেকোনো কিছু হতে পারে। আমাদের যেমন প্রস্তুতি দেখা যাক…সব কিছু নির্ভর করছি কীভাবে আমরা শুরু করছি। শুরুটা ভালো হলে অনেক দূর যাব।'
এদিকে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ২০২১ বিশ্বকাপে মূল পর্বের সব ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ। তার নিজের পারফরম্যান্সও বলার মতো ছিল না। ২০২২ বিশ্বকাপে তাই তিনি আর সুযোগই পাননি বাংলাদেশ দলে। তবে ব্যাট হাতে পারফর্ম করে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে না থেকে খুবই খারাপ লেগেছিল। মনে হয়েছিল আমি দলে থাকতে পারতাম। কিন্তু কোনো কারণে হয়নি। সেটার জন্য আমার কোনো আফসোসও নেই। সবসময় যেটা বলি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। সবসময় নিজের সর্বোচ্চটাই নিংড়ে দেই।