স্বপ্নের বিশ্বকাপ যখন মিরপুরে...

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
ক্রিকেটাররা এসে পাশাপাশি দাঁড়িয়েছিলেন আগেভাগেই। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এক পাশে সাজানো মঞ্চে সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন বিশ্বকাপ ট্রফির। সবারই অপেক্ষার কারণ একটাই, বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলবেন। সে জন্য মিরপুর স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই সংবাদকর্মীদের ভিড়।
অপেক্ষার পালা ফুরাল মুশফিকুর রহিমকে দিয়ে। ড্রেসিংরুম থেকে ট্রফি হাতে হাস্যোজ্জ্বল মুশফিক বেরিয়ে এলেন। সে সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সে দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন। পাশাপাশি ছিল সংবাদকর্মীদের ক্যামেরাও।
মঞ্চ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ট্রফি বয়ে আনলেন মুশফিক। এরপর জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা একে একে বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তুললেন। এরপর অনেকেই অনুশীলনে যোগ দিতে চলে গেলেন। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন কয়েকজন। তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শামীম হোসেনসহ কয়েকজন রয়ে গেলেন মঞ্চেই।
ট্রফি কাছে পেয়ে তা বেশ মনোযোগ সহকারে দেখছিলেন তাসকিন। দুই মাস পর শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের স্বপ্ন তো এই ট্রফিকে হাতে নিয়েই পূরণ করতে চাইবেন তিনি। নিজের মুঠোফোনে শামীমের ছবি তুললেন। সে সময় ট্রফিতে চুমুও খেলেন।

এসবের মাঝে মঞ্চে থাকা মুশফিক, তাসকিন ও রঙ্গনা হেরাথদের সঙ্গে চলল আইসিসির কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রশ্ন।মুশফিক মূলত সেখানে বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞতার বিষয়টি তুলে ধরেন। বিশ্বকাপে যা এগিয়ে রাখবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
বাংলাদেশ ম্যাচে ‘কিছু করে দেখাতে চায়’ পাকিস্তান
২৬ মিনিট আগে
এরপর বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঝমাঠে। সেখানে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন মাঠকর্মীরাও। বিকেএসপির ক্রিকেট বিভাগের ছাত্ররাও ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পান। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মিরপুরে আসেন নারী ক্রিকেটাররা। তারাও ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছেন।
এদিকে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশারও এসেছেন ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলতে। সেখানে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ট্রফিটা ছুঁতে পেরে খুব ভালো লাগছে, একটা স্বপ্ন তো থাকেই। যদি খোলা ট্রফিটা ধরতে পারতাম জেতার পর, তাহলে আরও ভালো লাগবে। একটু রোমাঞ্চ অনুভব করছি, আমাদের জন্য বিশ্বকাপ মনে হচ্ছে আজকে শুরু হয়ে গেল।’
বিশ্বকাপ যাত্রায় বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশাবাদী মনে হলো হাবিবুলকে, ‘প্রতিটা বিশ্বকাপ আসে আশা নিয়ে, দিন দিন আশা বাড়ছে। আশা প্রতিবারই পরিবর্তন হচ্ছে, আর এবারের আশাটা শুধু আমার নয়, সবারই একটু বেশি। কারণ, দুই বছর ধরে খুব ভালো খেলছি আমরা ৫০ ওভারের সংস্করণে।’
বাশার চলে যাওয়ার শেষ দিকে আসে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। নিগার সুলতানা জ্যোতি, সালমা খাতুনরা দলীয়ভাবে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন। সরাসরি ট্রফি দেখার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জ্যোতি বলেন, ‘আগে কখনো সামনা-সামনি দেখার সুযোগ হয়নি। ধন্যবাদ বিসিবি ও আমাদের নারী বিভাগকে, আমাদের এ সুযোগটা দেওয়ার জন্য এবং অনেক তরুণ খেলোয়াড় ছিল তাদের আসলে স্বপ্নের মতো ছিল বিশ্বকাপ ট্রফিকে সামনে থেকে দেখা।’
বাংলাদেশ দলের প্রতি প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘অবশ্যই বলতে হয়, প্রত্যাশা বাংলাদেশের কাছ থেকে আমাদের সবার খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বেশি, প্লাস হচ্ছে জনগণেরও অনেক বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয় সেরা দলটাই বোধ হয় এবার। যারা তরুণ খেলোয়াড় তারা খুব ভালো ছন্দে আছে এবং এ সংস্করণে আমরা খুব ভালো খেলি। সো ফার তাদের কাছ থেকে আমরা তো সেরাটাই আশা করব।’
জ্যোতিদের ফটোসেশন শেষে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হয় শের-ই-বাংলার প্রেসিডেন্ট বক্সে। সেখানে ছবি তোলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন ও বিসিবির কর্তারা। মিরপুরে কার্যক্রম শেষে আবার ট্রফি চলে যাবে হোটেলে। আগামীকাল বসুন্ধরা সিটিতে সাধারণ দর্শক-ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে স্বপ্নের বিশ্বকাপ।