এবার লেগ স্পিনার হান্ট করবে বিসিবি
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
১ বছর পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ
৫ জুলাই ২৫
জুবায়ের হোসেন লিখন, রিশাদ হোসেন, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি কিংবা আমিনুল ইসলাম বিপ্লব! লেগ স্পিনার হিসেবে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তারা। তবে নিজেদের স্বপ্নের রঙ হারিয়ে বাংলাদেশকে হতাশ করেছেন এসব তরুণরা। কেউ নিজেদের থিতু করতে পারেননি। জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট, কোথাও নেই লেগ স্পিনারের আধিপত্য।
যারা উঠে আসছেন কিংবা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখছেন সক্ষমতার ঘাটতিতে তারাও এখন দর্শক বনে গেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ না পাওয়া লেগ স্পিনারদের এখন কাজ যেন শুধু ফিল্ডিং করা এবং ক্রিকেটারদের জন্য পানি টানা। এমন দুরবস্থায় লেগ স্পিনারের সংকটে ভুগছে বাংলাদেশও।
বিশ্বের বেশিরভাগ দলে লেগ স্পিনার থাকলেও বাংলাদেশের জন্য সেটা যেন সোনার হরিণ। লেগ স্পিনারের অভাব পূরণে এবার লেগ স্পিন হান্টে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কদিন আগে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের হেড অব প্রোগ্রাম হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডেভিড মুর।

এই অস্ট্রেলিয়ানের চাওয়াতেই লেগ স্পিনার খোঁজার কাজ করবে বিসিবি। দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে তরুণ লেগ স্পিনারদের বাছাই করবেন এই অস্ট্রেলিয়ান। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে কবে নাগাদ এটি শুরু হবে তা নিশ্চিত করেননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘বিপিএল না কোনো কিছুতেই লেগ স্পিনার আসছে না। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে ম্যানেজারকে (হেড অব প্রোগ্রাম) নিয়েছি সে আমাকে জানালো সে লেগ স্পিনারদের খুঁজে বের করার জন্য হান্টিং শুরু করবে সে সারা বাংলাদেশে। প্রতিটি জেলা, প্রতিটি বিভাগ অনুযায়ী। করে, সে নিজে দেখে কিছু খেলোয়াড় নির্বাচন করার চেষ্টা করবে। দেখা যাক, আশা করি আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা কয়েকটা ছেলে তো পাবোই।’
দেশের বিভিন্ন জেলা কিংবা বিভাগ থেকে উঠে আসা তরুণ লেগ স্পিনাররা যে এখনই জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত নন সেটাও জানান তিনি। এদিকে মুরের বাছাই করা তরুণদের ভালো কোচের মাধ্যমে ৬ মাস মেয়াদে অনুশীলন করানোর কথা ভাবছে বিসিবি। এর ফলে এক বছর পর লেগ স্পিনার পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করেন বোর্ড সভাপতি।
পাপন বলেন, ‘হয়তো এখনই তারা পুরোপুরি প্রস্তুত না। এমন পাবো না যে এখনই আমাদের জন্য জাতীয় দলে খেলতে পারবে। আমরা যদি পটেনশিয়াল আছে পাই, তাদেরকে যদি ভালো কোচের অধীনে দিতে পারি ৬ মাসের অনুশীলন। এক বছর পরে হলেও তো আমরা একটা ভালো লেগ স্পিনার পেতে পারি। আমরা ওই চেষ্টাটাই করবো।’
২০০৮ সালে পেসার হান্টের আয়োজন করেছিল বিসিবি। সেখান থেকে উঠে এসেছিলেন রুবেল হোসেন। এরপর মোবাইল সিমের প্রতিষ্ঠান কোম্পানি রবির সহায়তায় ২০১৬ সালে রবি পেসার হান্ট করেছিল ক্রিকেট বোর্ড। সেবার বেড়ে এসেছিলেন ইবাদত হোসেনের মতো পেসার। সবশেষ রবির অধীনেই ২০১৭ সালে স্পিন হান্ট করেছিল বিসিবি। এবার লেগ স্পিনারের খোঁজে নামছে পাপনের বোর্ড।