এবার সবধরণের ক্রিকেট থেকে মরগানের অবসর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গেল বছরের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইয়ন মরগান। এবার নতুন বছরে এসে দিলেন সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সবধরণের ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা মরগানের জন্ম আয়ারল্যান্ডে। দেশটির রাজধানী শহর ডারবানে বেড়ে ওঠা তার। এই টপ অর্ডার ব্যাটারের ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছে আইরিশ মুলুকেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রথমবার পা রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডের জার্সি গায়ে জড়িয়ে। এমনকি ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও আয়ারল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

তবে এরপরই বদলে যায় তার গল্পের প্লট। আয়ারল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা মরগান মাঠে নামেন ইংল্যান্ডের হয়ে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। একই বছর ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকও হয় এই ব্যাটারের। আর পরের বছরই বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ক্যাপ পেয়ে যান মরগান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই দাপট ছিল তার ব্যাটে। অধিনায়ক হিসেবেও সুনাম ছিল তার। তার নেতৃত্বতেই প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল ইংলিশরা। এবার ৩৬ বছর বয়সে এসে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
এক বিবৃতিতে মরগ্যান বলেন, 'আমি খুব গর্বের সঙ্গে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। গত কয়েক বছরে এই খেলা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। তবুও অনেক চিন্তাভাবনার পরেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাই হয়তো সঠিক সময়। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডে এসে মিডলসেক্সে যোগ দেওয়ার পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার লিগে পার্ল রয়্যালসে খেলা পর্যন্ত, প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করেছি।'
বাইশ গজের সঙ্গে সম্পর্ক চুকানোর আগে ব্যাট হাতে লম্বা সময় দলক??? সার্ভিস দিয়েছেন মরগান। টেস্ট ক্রিকেটে ১৬ ম্যাচে প্রায় ৩০ গড়ে তিনি সংগ্রহ করেছেন ৭০০ রান। টি-টোয়েন্টিতে ১১৫ ম্যাচ খেলে প্রায় ৩০ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২ হাজার ৪৫৮ রান। আর ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৪৮ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৭হাজার ৭০১ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ৪০ গড়ে।
মাঠের ক্রিকেটকে বিদায় বললেও ক্রিকেটের সঙ্গে ঠিকই যুক্ত থাকছেন মরগ্যান। ব্রডকাস্টিং চ্যানেলগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাবেন তিনি। এছাড়া ভালো সুযোগ পেলে কোচ হিসেবেও দেখা যেতে পারে ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ককে।