ম্যাচ পরিস্থিতিতে তামিম-মুমিনুলদের অনুশীলন

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি, তানভিন তামিম

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ঘড়ির কাটা দুপুর দুইটা ছুই ছুই। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তখনও অনুশীলনে নামেননি তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা। একাডেমি ভবনের ছাদে চোখ যেতেই দেখা মিললো আবু জায়েদ রাহির। বারান্দায় চায়ের কাপ হাতে একা দাঁড়িয়ে আছেন, চায়ে চুমুক দিচ্ছেন একটু পর পর চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দলে থাকা এই পেসারেরও অনুশীলন করার কথা ছিল সতীর্থদের সঙ্গেই। কিন্তু করোনা পজিটিভ হওয়ায় একাডেমি ভবনে আইসোলেশনে আছেন রাহি। ৬-৭ মিনিট বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেঘলা আবহাওয়া দেখেই ভেতরে চলে গেলেন এই পেসার।
এর খানিক পরই মিরপুরের মাঠে অনুশীলনে নেমে পরলেন ক্রিকেটাররা। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) একটু ভিন্ন সাজেই অনুশীলন শুরু হল শান্ত-লিটনদের।মাঝের উইকেটে নেটে ঢাকা, এর দুই পাশে ম্যাচ পরিস্থিতি সাজিয়ে ফিল্ডিং পজিশন ঠিক করছেন সবাই।
এক পাশে ব্যাটিংয়ে নামলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সাদমান ইসলাম। অন্যপাশে মিডল অর্ডার দুই ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি রাব্বি এবং মোহাম্মদ মিঠুন। তামিম-সাদমানের উইকেটে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান, ওপর পাশে লিটন দাস।

ওপেনারদের ব্যাটিং শুরু হতে না হতেই স্টাম্প ভাঙ্গার শব্দ। তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে স্টাম্প ঠিক করছেন সাদমান ইসলাম। এরপর আবারও ব্যাটিং শুরু করলেন। তাসকিনের সঙ্গে নেটে ছিলেন হাসান মাহমুদও। তরুণ এই পেসার লাইন লেন্থে মেনে বোলিং করে বেশ কয়েকবার ব্যাটসম্যানকে পরাস্তও করেছেন।
এর মাঝে তামিমের ডাকে রান নিতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদেও পরেন সাদমান। এই ওপেনারকে রান আউট করে মুশফিকের উল্লাসটাও চোখে আটকে যায়। হাত উঁচিয়ে সতীর্থদের কাছে দৌড়ে যান তিনি। তামিম অবশ্য নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলে গেছেন।
নতুন বলের বিপক্ষে অনুশীলনটা ভালোভাবেই সেরে নিয়েছেন দুজন। ৫-৬ ওভার পেসারদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নাঈম হাসানের স্পিনের বিপক্ষে অনুশীলন করেন এই দুজন।পাশের উইকেটে মিঠুন এবং রাব্বিকে গতি দিয়ে শুরুতে তেমন বিপদে ফেলতে পারেননি রুবেল হোসেন-আল আমিনরা।
মিডেল স্টাম্পে ফালানো বলগুলি অনায়াসে খেলছিলেন দুজন।পেসারদের পর এই নেটে বোলিং করতে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। নতুন অ্যাকশনে উইকেট থেকে হালকা বাউন্স পেলেও ব্যাটসম্যানরা সহজেই খেলছিলেন তাঁকে।
প্রথম সেটের অনুশীলনের পর দ্বিতীয় সেটে ব্যাটিংয়ে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল ইসলাম। অন্য নেটে ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুমিনুলদের নেটে রুবেল-তাসকিন ছাড়াও বোলিং করেন হাসান মাহমুদ।
হাসান অবশ্য দ্বিতীয় সেটে দুই নেটেই বোলিং করেছেন। এছাড়া লম্বা সময় পর খালেদ আহমেদও ম্যাচ পরিস্থিতিতে বোলিং করেছেন। উইকেট থেকে বাউন্সও পাচ্ছিলেন এই পেসার। সে সময় নেটে ছিলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। মিরাজ এবং তাইজুল বোলিং করেছেন তাঁদের বিপক্ষে। কিপিংয়ে ছিলেন লিটন, পাশের উইকেটে সোহান।
শেষ সেটে বিকেল সাড়ে তিনটার একটু পর ব্যাটিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার এবং ইমরুল কায়েস। তাঁদের বোলিং করেছেন খালেদ এবং আল আমিন। পাশের নেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গী হন লিটন দাস।
প্রায় ৩০ মিনিটের মতো অনুশীলন চলে তাঁদের। এদিন ফিল্ডিংয়ের সময় লিটনের পাশে স্লিপে ছিলেন ইমরুল-মোসাদ্দেক। সোহানের পাশে স্লিপে ছিলেন শান্ত, মুমিনুল এবং নাঈম। গালিতে ফিল্ডিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ।