বাংলাদেশেও অনার্স বোর্ড চান মিরাজ

ছবি: রাওয়ালপিন্ডিতে ৫ উইকেট নিয়ে অনার্স বোর্ডে নিজের নাম লেখার পর মেহেদী হাসান মিরাজ, পিসিবি

ক্রিকেট তীর্থস্থান বলা হয়ে থাকে ইংল্যান্ডের লর্ডসকে। ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করলে বা বোলিংয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলে নিজ হাতে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লিখতে পারেন ক্রিকেটাররা। দুনিয়ার যেকোনো ক্রিকেটারই ওই বোর্ডে নাম লিখতে মুখিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে এমন কীর্তি গড়তে পেরেছেন পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব ও সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল। বাঁহাতি ওপেনারের নাম আছে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামেও।
৩৫০-৪০০ রানে চোখ বাংলাদেশের
৩ ঘন্টা আগে
লর্ডসের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নসহ আরও বেশ কিছু স্টেডিয়ামে এমন অনার্স বোর্ড আছে। এশিয়াতে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে থাকলেও নেই বাংলাদেশের কোনো স্টেডিয়ামে। লর্ডসে সেঞ্চুরি করা তামিম ২০১৬ সালে বাংলাদেশেও এম কিছু চালুর পরামর্শ দিয়েছিলেন তামিম। বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে সেটা সম্ভব হয়ে উঠেনি। যদিও নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বিসিবির সবশেষ পরিচালনা পর্যদ মিরপুরে অনার্স বোর্ড চালু করতে চেয়েছিলেন।

পাশাপাশি প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে (বর্তমানে ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড) অনার্স বোর্ড চালুর পাশাপাশি ক্রিকেট মিউজিয়ামও করতে চেয়েছিলেন। তবে সেটির কোনটি বাস্তবায়ন হয়নি। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে অনার্স বোর্ড চালু করার আবেদন করলেন মিরাজ। এও জানালেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে গিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে অনার্স বোর্ডে নিজের নাম দেখে ভালো লেগেছে তার।
মিরাজের ৫ উইকেটের পরও জিম্বাবুয়ের চাইতে পিছিয়ে বাংলাদেশ
৭ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘একটা জিনিস দেখেন, প্রত্যেকটা মানুষের অর্জন কিন্তু ভালো লাগার একটা বিষয়। অর্জন কিন্তু... একদিনে আসে না। কষ্ট করতে হয়, তারপর অর্জনটা আসে। যেটা বললেন যে... রাওয়ালপিন্ডিতে ওখানে… ৫ উইকেট পেয়েছিলাম। আর… নাম দেখেছি, ভালো লেগেছে, যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে গেছি। আর তারপরে যেটা বললেন বাংলাদেশে... আমার কাছে যেটা মনে হয় যে এই ঐতিহ্য চালু করা উচিত। আর যারা এখন বর্তমানে আছেন, আশা করি তারা এটা নিয়ে চিন্তা করবেন।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে সফরকারীরাও ভালো শুরু পেয়েছিল। তবে দ্বিতীয় দিনের সকালে নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদরা প্রতিপক্ষ চেপে ধরেন। পরবর্তীতে মিরাজের ৫ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে অল আউট করে বাংলাদেশ। যদিও তারা ৮২ রানের লিড পায়। তবে খুব বেশি প্রত্যাশা না থাকলেও উইকেট পেয়ে খুশি মিরাজ।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই উইকেট পেলে তো সবারই ভালো লাগে। দিনশেষে... যেহেতু... হোমে খেলা, আর… প্রত্যাশা আমার নিজের কাছেও অতটা উঁচু ছিল না। চেষ্টা ছিল ঠিক জায়গায় বল করা ও টিমকে ভালো সাপোর্ট করা। আর... ৫ উইকেট তো অবশ্যই ভালো জায়গায় বল করতে হবে, একই সময়ে ভাগ্য ভালো হওয়া লাগবে।’